।। মাওলানা নূর হোসাইন ।।
হিজরি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত মুসলিম উম্মাহ’র কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলত পূর্ণ রাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা পবিত্র এ রাতে ইবাদত বন্দেগীতে লিপ্ত হয়। অতীতের পাপমোচন এবং ভবিষ্যত জীবনের কল্যাণ কামনায় মহান রবের দরবারে কায়মনোবাক্যে ফরিয়াদ জানায়৷
পবিত্র কোরআন ও হাদীসের ভাষ্যমতে- এ রাতের শুরু লগ্নে মহান আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করে বিশ্ববাসীকে ডাকতে থাকেনঃ ‘আছে কি কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী? আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো। আছে কি কোন রিযিক উন্মেষণকারী? আমি তার রিযিকের ব্যবস্থা করে দিবো। কোন বিপদগ্রস্ত আছে কি? আমি তার বিপদমুক্ত করবো।’ এভাবে সুবহে সাদিক পর্যন্ত ডাকতে থাকেন। (ইবনে মাজাহ-১৩৮৪)
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
সারাবছর আল্লাহ তায়ালা রাতের এক-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হলে প্রথম আসমানে অবতরণ করে বান্দাদের ক্ষমা প্রার্থনার জন্য ডাকেন আর শবে বরাতের রাতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো রাতের শুরু অংশে অর্থাৎ সূর্যাস্তের সাথে সাথে তিনি প্রথম আসমানে নেমে এসে বান্দাদের ডাকে সাড়া দেন।
এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে আরেক হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘শাবানের মধ্যরাতে আল্লাহ তায়ালা প্রথম আকাশে নেমে বান্দাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন। মুশরিক ও বিদ্বেষপোষণকারী ব্যতীত অন্যদের ক্ষমা করে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ- ৬৬৪৬)
শবে বরাত যেহেতু বরকতপূর্ণ ও ক্ষমা প্রার্থনার রাত্রি, তাই এ রাতে বিনিদ্র থেকে নফল নামায, যিকির আযকার, দোয়া ইস্তেগফার বেশি বেশি করা উচিৎ। ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সফলতার জন্য কেঁদে কেঁদে অতি দয়ালু রহমানের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা উচিত।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে মুক্তির এ রজনীতে সবধরনের গর্হিত কর্মকাণ্ড পরিহার করে শরীয়তের সীমারেখার মধ্যে থেকে আমল করার তাওফীক দান করুন। আমিন
লেখক: তরুণ আলেমেদ্বীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ