সৌদি আরবের কোরআন ও আজান বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে মনোনীত হয়েছেন ২৩ দেশের ৫০ প্রতিযোগী। দেশটির জেনারেল এন্টারটেইনম্যান্ট অথরিটির (জিইএ) ত্ত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতাটি আতর আল-কালাম টিভি শোতে দেখা হবে। পবিত্র রমজান মাসে তা এমবিসি টিভি এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের শাহিদ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও সম্প্রচারিত হবে।
আরব নিউজ সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতায় এবারই প্রথম কোরআন ও আজানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গত ৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতায় অনলাইনে ১৬৫টি দেশের ৫০ হাজারের বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। তিন ধাপে বাছাইয়ের পর নির্বাচিত প্রতিযোগীরা আসন্ন রমজানে রিয়াদে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেবেন।
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে রয়েছেন, মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের মুয়াজ্জিন শায়খ আহমদ নাহাস, বিশ্বখ্যাত কারি ও কুয়েতের গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম শায়খ মিশারি বিন রাশিদ আল-আফাসি, মরক্কোর কিরাত শিক্ষা বোর্ডের সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল রহিম নাবলুসি, লিবিয়ার আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার বিচারক বাহলউল সাইদ আবু আরকুব ও মিসরের আল-আজহার মসজিদের প্রধান কারি শায়খ শেখ আহমেদ মনসুর।
এদিকে প্রতিযোগিতার সুপারভাইজার হিসেবে মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের সাবেক ইমাম শায়খ আদিল আল-কালবানি এবং সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে কিং ফয়সাল এয়ার একাডেমির ইমাম ও দায়ি ফাহাদ আল-আনদাস দায়িত্ব পালন করছেন।
ইসলামের সহনশীলতা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ধর্মীয় শিক্ষা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়াই এই প্রতিযোগিতার প্রধান লক্ষ্য। বিশ্বের সব দেশ থেকে সৃজনশীল প্রতিভাধর ব্যক্তিদের এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। ২০২২ সালের রমজান মাসে জিইএর তত্ত্বাবধানে আতর আল-কালাম প্রথমবার এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে ৮০টি দেশ থেকে ৪০ হাজারের বেশি প্রতিযোগী অংশ নেয়।
সূত্র : আরব নিউজ
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএম