নারীজাতি গৃহবহির্ভূত কর্মস্থলে আসার কারণে একটা লোকসান তো এই হয়েছে যে, পারিবারিক সংহতি বিরন হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়া দ্বিতীয় আরেকটা ক্ষতিও কিন্ত হয়েছে। তা হচ্ছে- আল্লাহ তা‘আলা পুরুষের অন্তরে নারির প্রতি, নারীর অন্তরে পুরুষের প্রতি একটা আকর্ষণ দান করেছেন। আপনি তাকে যতই ঢাকার চেষ্টা করেন না কেন, কিন্ত এটাই হচ্ছে বাস্তবতা- অনস্বীকার্য বাস্তবতা।
আর উভয়ের মাঝে যখন অবাধ মেলামেশা ঘটবে, স্বাধীন সম্মিলন হবে , তখন স্বভাবজাত সেই ‘আকর্ষণ’ যে-কোনো সময় অন্যরুপ ধারণ করে গুনাহের দিকেও গড়াতে পারে। কারণ নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, সর্বদা ওঠা-বসা ও দেখা-শুনা দ্বারা অবশ্যই গোনাহ সংগঠিত হওয়া স্বাভাবিক। আপনি এ সোসাইটিতে বসবাস করে যা আজ স্বচক্ষেই দেখতে পাচ্ছেন।
আরও পড়তে পারেন-
- কাবলাল জুমা: কিছু নিবেদন
- দারিদ্র বিমোচনে এনজিওদের থেকে কওমি মাদ্রাসার সফলতা বেশি!
- হজ্ব-ওমরায় গেলে আমরা সেখান থেকে কী নিয়ে ফিরব?
- সমাজে পিতা-মাতারা অবহেলিত কেন
- সংঘাতবিক্ষুব্ধ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের সুমহান আদর্শ
এখানে নারী -পুরুষের অবাধ মেলামেশার ফলে কী ঘটছে? এখানে, এসময়ে, এদেশে যদি কোন পুরুষ অথবা নারীও অবৈধ পদ্ধতিতে জৈবিক চাহিদা পূরণ করতে চায়, তবে তার জন্য দরজা, চৈাকাঠ সবই উন্মুক্ত রয়েছে। কোন আইন তাদেরকে বাধা দেওয়ার মতো নেই। কোন জীবনব্যবস্থা তাদের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করার মতো নেই।
কোনো সামাজিক প্রাচিরও সামনে দৃষ্টগোচর হবে না। এতদসত্ত্বেও এদেশে ধর্ষণের ঘটনা সারা বিশ্ব থেকে সবচেয়ে বেশি ঘটছে।
পত্রিকাতেই তো পড়েছি যে, সেদেশে (আমেরিকায়) প্রতি ৪৬ সেকেন্ডে একটি করে ধর্ষণ সংগঠিত হয়। এবার বলুন, যে দেশে সম্মতির সাথে জৈবিক চাহিদা মেটানোর সব পথ উন্মুক্ত, সে দেশে ধর্ষণের মতো ঘটনা এতো বেশি ঘটছে কেন? তার কারণ কী? সূত্র: ইসলাহে খুতুবাত
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ