প্রশ্ন: আমি একজন বিবাহিত সৈনিক। আমি দীর্ঘ পাঁচ মাস যাবত ছুটি পাচ্ছি না। যে কারণে এই দীর্ঘ সময় ধরে স্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করতে পারছি না। শরীয়তের দৃষ্টিতে এতে আমার কোনো অসুবিধা হবে কি? অসুবিধা হলে আমার অধিনায়ক এক্ষেত্রে দোষমুক্ত হতে পারবেন কি? এমতাবস্থায় আমার করণীয় কী?
– মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, ৩য় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান, পানখাইয়া পাড়া, খাগড়াছড়ি।
আরও পড়তে পারেন-
- কাবলাল জুমা: কিছু নিবেদন
- দারিদ্র বিমোচনে এনজিওদের থেকে কওমি মাদ্রাসার সফলতা বেশি!
- হজ্ব-ওমরায় গেলে আমরা সেখান থেকে কী নিয়ে ফিরব?
- সমাজে পিতা-মাতারা অবহেলিত কেন
- সংঘাতবিক্ষুব্ধ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের সুমহান আদর্শ
উত্তর: কুরআন, হাদীস ও ফিকহের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থাদি অধ্যয়ন করে এই কথা স্পষ্ট হয় যে, একজন বিবাহিত ব্যক্তির জন্য তার স্ত্রীর অনুমতি ব্যতীত চার মাসের অধিক সময় তার স্ত্রীর কাছ থেকে দূরে থাকা জায়েয নেই।
স্ত্রীর সন্তুষ্টি ব্যতীত যদি কেউ তার স্ত্রীর কাছ থেকে চার মাসের অধিক সময় দূরে অবস্থান করে এবং তার অনুপস্থিতির কারণে স্ত্রীর তার যৌন তাড়নায় কোনো গুনাহের কাজে লিপ্ত হয়, তাহলে এক্ষেত্রে স্বামীও গুনাহগার হবে।
সরকারিভাবে ছুটি কাটানোর নিয়ম থাকা সত্ত্বেও যদি আপনার অধিনায়ক দীর্ঘ সময় আপনাকে ছুটি না দেন, তাহলে এক্ষেত্রে আপনার অধিনায়ক দোষমুক্ত নন; বরং গুনাহগার হবেন।
এমতাবস্থায় আপনার জন্য করণীয় হলো যে, আপনার স্ত্রীকে আপনার কাছে তথা আপনার দায়িত্বরত স্থানে নিয়ে যাওয়া। অথবা স্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে চাকরিরত স্থানে অবস্থান করা। (সহীহ বুখারী- ১/২৫৫, রদ্দুল মুহতার আলা দুররিল মুখতার- ৪/৩৮০, ফাতহুল কদীর- ৩/৪১৩)।
উত্তর দিয়েছেন- আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন
মুফতি, মুহাদ্দিস, মুফাসসীর ও সহকারী পরিচালক-
জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ