।। আহমাদ রাইয়ান ।।
ইসলামী অর্থনীতিতে একই জাতীয় বস্তু কম-বেশি করে বিক্রি করা নিষিদ্ধ। এটি সুদের নামান্তর। আবু বকর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বিনিময়ে রৌপ্য ও স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ সমান সমান না হলে বিনিময় করতে নিষেধ করেছেন এবং স্বর্ণের বিনিময়ে রৌপ্য ক্রয় করার অনুমতি দিয়েছেন—যেভাবে আমরা চাই। আর রৌপ্যের বিনিময়ে স্বর্ণ ক্রয় করতে (অনুমতি দিয়েছেন)—যেরূপে আমরা ইচ্ছা করি।
অতঃপর এক ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞেস করল। তিনি বলেন, হাতে হাতে (নগদ)। লোকটি বলল, এরূপই আমি শুনেছি। (মুসলিম, হাদিস : ৩৯৬৫)
তবে বিপরীত বস্তুর সঙ্গে পণ্যের ক্রয়-বিক্রয় কম-বেশি করে কেনাবেচা বৈধ। আবু বাকরা (রা.) বলেন, নবী (রা.) সমান সমান ছাড়া রুপার বদলে রুপার ক্রয়-বিক্রয় এবং সোনার বদলে সোনার ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন এবং তিনি রুপার বিনিময়ে সোনা বিক্রি এবং সোনার বিনিময়ে রুপা বিক্রি আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী অনুমতি দিয়েছেন। (বুখারি, হাদিস : ২১৮২)
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়েছে অন্য হাদিসে। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, বিলাল (রা.) কিছু বরনি খেজুর (উন্নতমানের খেজুর) নিয়ে নবী (সা.)-এর কাছে এলেন। নবী (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, এগুলো কোথায় পেলে? বিলাল (রা.) বলেন, আমাদের কাছে কিছু নিকৃষ্ট মানের খেজুর ছিল।
নবী (সা.)-কে খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে তা দুই সা (আরব্য পরিমাপ)-এর বিনিময়ে এক সা কিনেছি। এ কথা শুনে নবী (সা.) বলেন, হায়! হায়! এটা তো একেবারে সুদ! এটা তো একেবারে সুদ! এরূপ করো না। যখন তুমি উত্কৃষ্ট খেজুর কিনতে চাও, তখন নিকৃষ্ট খেজুর ভিন্নভাবে বিক্রি করে দাও। তারপর সে মুল্যের বিনিময়ে উত্কৃষ্ট খেজুর কিনে নাও। (বুখারি, হাদিস : ২৩১২)
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ