কিয়ামতের আগে মানুষ যেসব ভয়াবহ বিপদ ও পরীক্ষার সম্মুখীন হবে দাজ্জালের ফিতনা এর মধ্যে অন্যতম। নবী করিম (সা.) সব সময় দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচতে আল্লাহর আশ্রয় চেয়ে নিম্নের দোয়া করতেন।
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবি জাহান্নাম, ওয়া মিন আজাবিল কাবরি, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামাতি, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাসিহিদ দাজ্জাল।
অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে জাহান্নামের শাস্তি, কবরের শাস্তি, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা এবং দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই।
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
উপকার : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা যখন (নামাজের বৈঠকে) তাশাহুদ পাঠ করবে তখন যেন চার বস্তু থেকে আশ্রয় চেয়ে বলবে…। সহিহ মুসলিম : ৫৮৮
অন্য বর্ণনায় এসেছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) উল্লিখিত দোয়া পাঠ করতেন। বোখারি : ১৩৭৭
তা ছাড়া দাজ্জালের পরীক্ষা থেকে বাঁচতে পবিত্র কোরআনের সুরা কাহাফের শুরুর ১০ আয়াত মুখস্থের কথাও হাদিসে এসেছে। হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের শুরুর ১০ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে।’ সহিহ মুসলিম : ৮০৯
আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে আমল করার তওফিক দান করুন।