মারজিয়া আক্তার
শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেভাবে রোগাক্রান্ত হয়, তেমনি অন্তরও অসুস্থ হয়। অন্তর যদি কুপ্রবৃত্তি, হিংসা, অহংকার, শিরক ও মন্দ কাজের দ্বারা প্রভাবিত হয় তাহলে তা মৃত অন্তরের পর্যায়ে চলে যায়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তাদের অন্তর অসুস্থ আর আল্লাহ তাদের ব্যাধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১০)
অন্তর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কিছু আলামত আছে।
তন্মধ্যে কিছু আলামত নিম্নে উল্লেখ করা হলো—
(ক) বেশির ভাগ সময় এ ধরনের অন্তরের অধিকারী মানুষ এমন কাজে অনীহা প্রকাশ করে, যেগুলো হিদায়াত লাভে সহায়ক। যেমন—ইলম অর্জন, হিকমতের সঙ্গে কাজ সম্পাদন, তাওহিদের জ্ঞানার্জন, ইবাদত করা ইত্যাদি বিষয়ে তারা অনীহা প্রকাশ করে থাকে।
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
(খ) এ ধরনের মানুষ প্রচণ্ড অহংকারী হয় এবং এই অহংকারের দরুন সত্যকে প্রত্যাখ্যান করে।
(গ) ধর্মীয় বিষয় নিয়ে অন্তরে সন্দেহ পোষণ, শিরক-বিদআতের মায়াজালে আবদ্ধ থাকাও অন্তরের রোগের নিদর্শন।
(ঘ) কারণে-অকারণে দুশ্চিন্তা, বিষণ্ণতা, উদ্বিগ্নতা, উৎকণ্ঠা, দুঃখ, ক্রোধ, লোভ প্রভৃতি অন্তরের রোগের আলামত।
(ঙ) হত্যা, সন্ত্রাস, ঘুষ, সুদ, চাঁদাবাজি, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন, ওজনে কম দেওয়া, গান-বাজনায় মত্ত থাকা, অশ্লীলতাসহ যাবতীয় অশালীন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত হবে, তাদের অন্তরে অসুখ আছে বলে বুঝে নিতে হবে।
আর অন্তরের অসুখের চিকিৎসা করতে হলে রোগীর উচিত সত্যের আশ্রয় নেওয়া, বেশি বেশি নফল সালাত আদায় করা, গভীর রাতে সালাতে অশ্রু ঝরানো, সব ধরনের পাপ পরিহার করা। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আমার পথে সাধনায় আত্মনিয়োগ করে, আমি তাদের অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদের সঙ্গে আছেন। ’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৬৯)
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ