মারজিয়া আক্তার
মহানবী (সা.)-এর সর্বমোট চার মেয়ে ছিলেন। জয়নব, রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম ও ফাতেমা (রা.)। এবং তাঁর পাঁচজন জামাতা ছিলেন।
১. আবুল আস বিন রাবি: ইনি খাদিজা (রা.)-এর আপন বোন হালার পুত্র ছিলেন।
কন্যা জয়নব (রা.)-কে তিনি এই ভাগিনার সঙ্গে বিবাহ দেন। আলী ও উমামাহ নামে তাঁদের একটি পুত্র ও একটি কন্যাসন্তান হয়। জয়নব (রা.) অষ্টম হিজরিতে এবং আবুল আস (রা.) ১২ হিজরিতে মৃত্যুবরণ করেন।
২. ও ৩. উতবা ও উতাইবাহ: আবু লাহাবের এই দুই পুত্রের সঙ্গে রুকাইয়া ও উম্মে কুলসুম (রা.)-এর বিবাহ হয়। কিন্তু সুরা লাহাব নাজিলের পর তাঁদের তালাক দিতে আবু লাহাব বাধ্য করেন। এদের ঔরসে কোনো সন্তান হয়নি।
আরও পড়তে পারেন-
- কাবলাল জুমা: কিছু নিবেদন
- দারিদ্র বিমোচনে এনজিওদের থেকে কওমি মাদ্রাসার সফলতা বেশি!
- হজ্ব-ওমরায় গেলে আমরা সেখান থেকে কী নিয়ে ফিরব?
- সমাজে পিতা-মাতারা অবহেলিত কেন
- সংঘাতবিক্ষুব্ধ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের সুমহান আদর্শ
৪. ওসমান (রা.): পরে রুকাইয়া (রা.)-কে ওসমান (রা.)-এর সঙ্গে বিয়ে দেন। হাবশায় হিজরতকালীন ‘আবদুল্লাহ’ নামে তাঁর একটি পুত্রসন্তান হয়। যিনি প্রথম হিজরিতে মদিনায় ছয় বছর বয়সে মারা যান। তার পরের বছর দ্বিতীয় হিজরিতে বদরের যুদ্ধ থেকে ফেরার দিন রুকাইয়া (রা.) মৃত্যুবরণ করেন। অতঃপর উম্মে কুলসুম (রা.)-এর ওসমান (রা.)-এর সঙ্গে বিবাহ দেওয়া হয়। রাসুল (সা.)-এর দুই মেয়ের স্বামী হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করায় ওসমান (রা.)-কে ‘জুন-নুরাইন’(দুই নুরের অধিকারী) বলা হয়। উম্মে কুলসুম (রা.) নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি নবম হিজরিতে মৃত্যুবরণ করেন।
৫. আলী (রা.): দ্বিতীয় হিজরির সফর মাসে তাঁর সঙ্গে ফাতেমা (রা.)-এর বিবাহ হয়। হাসান, হোসাইন, উম্মে কুলসুম ও জয়নব নামে তাঁর গর্ভজাত চারটি সন্তান ছিল। অনেকে মুহসিন ও রুকাইয়া নামে আরো দুটি সন্তানের কথা বলেছেন। যাঁরা শিশু অবস্থায় মারা যায়। ১১ হিজরির তৃতীয় রমজান মঙ্গলবার রাতে ৩০ অথবা ৩৫ বছর বয়সে ফাতেমা (রা.) মৃত্যুবরণ করেন।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ