বারবারা অ্যান লরেন্স। পেশায় একজন শিক্ষিকা। ২০১২ সালে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
ওই বছরের মে মাসে তুরস্কে বেড়াতে আসেন লরেন্স এবং দেশটির আদানায় তার ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি ঘটে।
আদানার প্রাদেশিক মুফতি শায়খ আব্দুল্লাহ দেমির তাকে কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামে দীক্ষিত করেন।
ইসলাম গ্রহণের পর অ্যান লরেন্স এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় ইসলামে প্রবেশ করেছি এবং এটাতে আমি নিজেকে খুব সুখী অনুভব করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইসলামে সবরকমের সুন্দরের সমাবেশ দেখেই আমি তা গ্রহণ করেছি।’
আরও পড়তে পারেন-
- কাবলাল জুমা: কিছু নিবেদন
- দারিদ্র বিমোচনে এনজিওদের থেকে কওমি মাদ্রাসার সফলতা বেশি!
- হজ্ব-ওমরায় গেলে আমরা সেখান থেকে কী নিয়ে ফিরব?
- সমাজে পিতা-মাতারা অবহেলিত কেন
- সংঘাতবিক্ষুব্ধ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের সুমহান আদর্শ
অ্যান লরেন্স বলেন, ‘যখন আমি ইসলাম সম্পর্কে জানতে শুরু করলাম, তখন তাতে আমি মানবিক মূল্যবোধ, সহমর্মিতা, উত্তম চরিত্র ও সম্পর্কের গুরুত্বের বিষয়টি দেখতে পাই।’
‘সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে ইসলামের দিকে পথ দেখিয়েছেন। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি- অন্যদেরও যেন তিনি এই শ্বাশত ধর্মের প্রতি হেদায়েত দান করেন’ বলেন বারবারা অ্যান লরেন্স।
এদিকে আদানার মুফতি শায়খ আব্দুল্লাহ দেমির বলেন, ‘ইসলামের দরজা সবার জন্য খোলা। যে চায়, সে ইসলামে প্রবেশ করতে পারে। যেই ইসলাম গ্রহণ করবে, আল্লাহ তাকে পূর্বের সকল পাপ থেকে মার্জনা করবেন এবং ইসলাম গ্রহণকারী এমন ব্যক্তিতে রূপান্তরিত হবে, যেন মাত্র তাকে তার মা পৃথিবীতে ভূমিষ্ট করলেন। মানে সে নিষ্পাপ হয়ে যাবে।’
[আনাদোলু এজেন্সি থেকে অনুবাদ- বেলায়েত হুসাইন]
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ