।। মো. আবদুল মজিদ মোল্লা ।।
রাসুলুল্লাহ (সা.) মুমিন ব্যক্তিকে খেজুরগাছের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ইসলামের আগমনভূমি আরব উপদ্বীপের প্রধান খাবারগুলোর একটি খেজুর। মহানবী (সা.) কর্তৃক নির্মিত মসজিদে নববীতে ব্যবহার করা হয়েছিল খেজুরগাছের খুঁটি ও পাতা। তাই ইসলামী সংস্কৃতির সঙ্গে খেজুর, খেজুরগাছ ও খেজুর পাতার দীর্ঘ সংযোগ ও সম্পর্ক আছে।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে এগুলোর বহুমুখী ব্যবহার দেখা যায়। যেমন খেজুর পাতায় কোরআন লিপিবদ্ধ করা। খেজুর পাতায় লিপিবদ্ধ এমন একটি কোরআনের অনুলিপি নিয়ে আলোচনা করা হলো।
ইন্দোনেশিয়ায় দুই শ বছরের পুরনো খেজুর পাতায় লেখা একটি পাণ্ডুলিপি পাওয়া গেছে। ইন্দোনেশিয়ায় প্রচলিত খেজুর পাতার ঝুলন্ত পালমিরায় পাংগুটিক পদ্ধতি ব্যবহার করে তা লেখা হয়েছে। ঝুলন্ত পালমিরায় কোরআন লিপিবদ্ধ করা বিরল ঘটনা। কেননা ‘কাভি’ লিখন পদ্ধতিতে কোরআন লিপিবদ্ধ করাই ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্য।
খেজুরা পাতায় লিপিবদ্ধ কোরআনের অনুলিপিতে কোরআনে মোট সাতটি সুরা লিপিবদ্ধ আছে। সাতটি সুরা লিখতে ৩৫ খেজুর পাতা ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতি পাতায় তিন লাইন করে লেখা আছে। প্রতিটি পাতা দৈর্ঘ্য ১০৫ সেমি ও প্রস্ত ৩৭ সেমি। পাতাগুলো মোটা সুতা দিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং মেহেগনি কাঠের বাক্সে তা সংরক্ষণ করা হয়েছে।
গবেষকরা মনে করছেন, খেজুর পাতার লেখা কোরআনের পাণ্ডুলিপিটি খ্রিস্টীয় আঠার বা উনিশ শতকের এবং তা ইন্দোনেশিয়ার অচেহ অঞ্চলের কোথাও তা প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে তা উদ্ধার করা হয়েছে পিকানবারু শহর থেকে। মূল লেখাগুলো কালো কালি দিয়ে লেখা এবং বিরাম চিহ্নগুলো কিছুটা ভিন্ন কালো কালি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সূত্র : আবু দারবিশ
ব্লকপোস্ট ডটকম