।। আহমাদ রাইদ ।।
কেক কেটে জন্মদিন পালন করা হয় পশ্চিমা দেশগুলোতে। এটা পশ্চিমা সংস্কৃতি। ইসলামে জন্মদিনের উৎসব বা জন্মদিন পালনের নির্দেশনা নেই। যদিও মানুষ ইবাদত হিসেবে জন্মদিন পালন করে না—নিছক আনন্দের জন্য এটি করে থাকে।
তাই বিষয়টি মানুষের আদত বা স্বভাবের অন্তর্গত। আর স্বভাবগত বিষয়ের বিরুদ্ধে যদি সুস্পষ্ট দলিল পাওয়া না যায়, তাহলে তাকে সরাসরি হারাম বলা কঠিন। কিন্তু কেক কেটে জন্মদিন পালন অমুসলিমদের সংস্কৃতি। তাই এটি এড়িয়ে চলা কর্তব্য। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত হিসেবে গণ্য হবে। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪০৩)
অন্যদিকে জন্মদিনকে কেন্দ্র করে কখনো কখনো অপচয় ও অপব্যয়ের নজির দেখা যায়। ইসলামে অপচয় ও অপব্যয় নিষিদ্ধ। অপচয় নিষিদ্ধ করে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমরা আহার করো ও পান করো। কিন্তু অপচয় করো না…। ’ (সুরা আল আরাফ, আয়াত : ৩১)
আরও পড়তে পারেন-
- কাবলাল জুমা: কিছু নিবেদন
- দারিদ্র বিমোচনে এনজিওদের থেকে কওমি মাদ্রাসার সফলতা বেশি!
- হজ্ব-ওমরায় গেলে আমরা সেখান থেকে কী নিয়ে ফিরব?
- সমাজে পিতা-মাতারা অবহেলিত কেন
- সংঘাতবিক্ষুব্ধ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের সুমহান আদর্শ
অপব্যয়কে নিষিদ্ধ করে মহান আল্লাহ কোরআন কারিমে ইরশাদ করেছেন, ‘আর কিছুতেই অপব্যয় করবে না। যারা অপব্যয় করে তারা শয়তানের ভাই এবং শয়তান তার রবের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ। ’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৬-২৭)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বার্ষিক জন্মদিন পালন করতেন না। তবে তিনি প্রতি সপ্তাহে জন্মবার—সোমবার রোজা রাখতেন। আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)-কে সোমবার রোজা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাবে বলেছিলেন, ‘এ দিনে আমার জন্ম হয়েছে এবং এ দিনে আমাকে নবুয়ত দেওয়া হয়েছে বা আমার ওপর কোরআন নাজিল হওয়া শুরু হয়েছে। ’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)
আর যদি জন্মদিন এমনভাবে পালন করা হয় যে সেখানে নাচ-গান, বেগানা ছেলে-মেয়ের ফ্রি মিক্সিং থাকে, তাহলে সেটা অবশ্যই হারাম।
কিন্তু যদি কেক কাটা, নাচ-গান বা ইসলামে নিষিদ্ধ কোনো কাজে লিপ্ত না হয়ে সাধারণভাবে জন্মদিনে আনন্দভাব বা ভালো খাবার খায়, তাহলে তা দূষণীয় নয়।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএ