।। মুহাম্মাদ হেদায়াতুল্লাহ ।।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দীর্ঘ দুই বছর পর পবিত্র কাবাঘরের চারপাশে স্থাপিত সুরক্ষা বেষ্টনী সরিয়ে দিয়েছে সৌদি সরকার। এখন পবিত্র কাবাঘরের কাছে গিয়ে সরাসারি তা স্পর্শ করতে পারছেন মুসল্লিরা। গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সৌদি বাদশাহ সালমানের নির্দেশক্রমে সুরক্ষা বেষ্টনী তুলে নেওয়ার কথা জানান পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল সুদাইস। খবর আরব নিউজের।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
হজ ও ওমরাহ পালনকালে পবিত্র কাবাঘর সাতবার প্রদক্ষিণ করেন মুসল্লিরা। ২০২০ সালের জুলাইয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ও মুসল্লিদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এই বেষ্টনী দেওয়া হয়েছিল। এ সময় কাবাঘরে স্থাপিত হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর স্পর্শ বা চুম্বন করতে পারেননি মুসল্লিরা।
আবদুর রহমান আল সুদাইস জানান, ওমরাহ মৌসুম শুরু হওয়ার পর পবিত্র কাবাঘরের বেষ্টনী তুলে নেওয়া হয়েছে। পবিত্র মসজিদুল হারামে আগত মুসল্লি ও দর্শনার্থীদের সেবা নিশ্চিত করতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। মুসল্লিদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে সব সেক্টরের সমন্বয়ে জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগ কাজ করছে বলে জানান তিনি।
করোনা মহামারির কারণে এ বছর হজ পালন করেন ১০ লাখ মুসল্লি। ২০২১ সালে হজ পালন করেন ৫৮ হাজার ৭৪৫ জন। ২০২০ সালে কঠোর বিধি-নিষেধ মেনে ১০ হাজার লোক হজ পালন করেন। মহামারির আগে ২০ লাখের বেশি লোক হজ পালন করতেন।
২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর প্রথমবারের মতো সতর্কতামূলক কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করে সৌদি আরব। তখন ওমরাহ পালনসহ দৈনিক নামাজ আদায়ে সাময়িক সীমাবদ্ধ করা হয়। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে সীমিত পরিসরে ওমরাহ ও হজ কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা হয়।
সূত্র : আরব নিউজ
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএম