।। মুফতি আতাউর রহমান ।।
বিশুদ্ধ হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) আল্লাহকে বিজোড় বলেছেন। ধর্মতাত্ত্বিকরা ‘বিতরুন’ (বিজোড় হওয়া)-কে আল্লাহর একটি গুণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, (রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন) আল্লাহর ৯৯টি নাম আছে, এক কম এক শ নাম। যে ব্যক্তি এই নামগুলো মুখস্থ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
আল্লাহ বিজোড়। তিনি বিজোড় পছন্দ করেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৪১০)
আলী (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হে কোরআনের ধারকরা! তোমরা বিতর নামাজ আদায় করো। কেননা আল্লাহ বিজোড়, তাই তিনি বিজোড়কে ভালোবাসেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৪১৬)
আল্লামা খাত্তাবি বলেন, আল্লাহর ক্ষেত্রে বিজোড় শব্দটি একক অর্থে ব্যবহৃত হয়। আল্লাহ বিজোড় হওয়ার অর্থ হলো তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো শরিক নেই। তাঁর কোনো সমকক্ষ ও সদৃশ নেই। তিনি তাঁর সৃষ্টি থেকে সম্পূর্ণ পৃথক এবং তাঁর গুণাবলিতে এক ও অনন্য। আল্লাহই কেবল এক। আল্লাহ ছাড়া অন্য সব সৃষ্টির সমকক্ষ, সঙ্গী বা জোড়া আছে। (শানুদ দোয়া, পৃষ্ঠা ২৯)
আরও পড়তে পারেন-
- কাবলাল জুমা: কিছু নিবেদন
- দারিদ্র বিমোচনে এনজিওদের থেকে কওমি মাদ্রাসার সফলতা বেশি!
- হজ্ব-ওমরায় গেলে আমরা সেখান থেকে কী নিয়ে ফিরব?
- সমাজে পিতা-মাতারা অবহেলিত কেন
- সংঘাতবিক্ষুব্ধ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের সুমহান আদর্শ
আল্লামা হালিমি (রহ.) বলেন, আল্লাহ বিজোড় কেননা আল্লাহ সর্বপ্রাচীন ও চিরন্তন। অতীতে আল্লাহ ছাড়া কোনো কিছুই ছিল এবং ভবিষ্যতেও আল্লাহ ছাড়া কোনো কিছু থাকবে না। (আল মিনহাজু ফি শুআবিল ঈমান : ১/১৯০)
ফকিহরা বলেন, আল্লাহ যেহেতু বিজোড় পছন্দ করেন। তাই ফকিহ আলেমরা বৈধ ও গণনাযোগ্য কাজে বিজোড় সংখ্যাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। যেমন নামাজের রুকু ও সিজদাতে তিনবার বা পাঁচবার তাসবিহ পাঠ করা, ইস্তিঞ্জার সময় তিনটি কুলুপ ব্যবহার করা, অজুর সময় প্রত্যেক অঙ্গ তিনবার ধোয়া ইত্যাদি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সুরমা ব্যবহার করে সে যেন বিজোড় বার ব্যবহার করে এবং যে কুলুপ ব্যবহার করে সে যেন বিজোড় সংখ্যা ব্যবহার করে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৭৩৫৭)
আল-মাউসুয়াতুল আকাদিয়া
উম্মাহ২৪ডটকম:এসএ