হজ পালন শেষে মদিনায় এসে ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত নিদর্শনগুলো দেখছেন হজযাত্রীরা। সেখানে তাঁরা স্বর্ণের গহনাসহ নানা সামগ্রী ক্রয় করছেন। জামাকাপড়, জায়নামাজ ও নানা জাতের উন্নতমানের খেজুরের চাহিদা বেড়েছে বহু গুণ। নিজ দেশে ফিরে আত্মীয়-স্বজনদের উপহার দিতে এসব জিনিস কিনছেন তাঁরা।
মহানবী (সা.)-এর জীবনী ও ইসলামী সভ্যতা নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী চলছে মসজিদ-ই-নববী প্রাঙ্গণে। পবিত্র মসজিদ-ই-নববীর দক্ষিণ স্কয়ার সংলগ্ন জায়গায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। মুহাম্মদ (সা.)-এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি বিভিন্ন ভাষায় তুলে ধরা হয় ইন্টারঅ্যাক্টিভ স্ক্রিনের সাহায্যে। মিউজিয়ামের একটি হলরুমে রয়েছে পবিত্র দুই মসজিদের বিরল সম্পত্তি। এ ছাড়া বিশেষায়িত ডিভাইসে প্রদর্শনীর বিভিন্ন বিষয়ের অডিও অনুবাদ শোনার সুযোগ পান দর্শনার্থীরা।
মদিনার গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন সালমান বলেন, এই প্রদর্শনী ও মিউজিয়ামের বিষয়বস্তু ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সঠিক বার্তা এবং ইসলামের সহনশীলতা ও সংযমের শিক্ষা প্রচার করা হবে। মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগের মহাসচিব আবদুল করিম আল ইসা বলেন, এই মিউজিয়ামের মাধ্যমে মুহাম্মদ (সা.) ও ইসলামী সভ্যতা সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান লাভ করা যাবে। বিশেষত মক্কা ও মদিনা সনদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে জানা যাবে।
আরও পড়তে পারেন-
- কাবলাল জুমা: কিছু নিবেদন
- দারিদ্র বিমোচনে এনজিওদের থেকে কওমি মাদ্রাসার সফলতা বেশি!
- হজ্ব-ওমরায় গেলে আমরা সেখান থেকে কী নিয়ে ফিরব?
- সমাজে পিতা-মাতারা অবহেলিত কেন
- সংঘাতবিক্ষুব্ধ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের সুমহান আদর্শ
গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগের তত্ত্বাবধানে ইসলামিক মিউজিয়াম ও প্রদর্শনী চালু হয়। এরপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। মুসলিম ও অমুসলিম দর্শনার্থীদের কাছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মহানবী (সা.)-এর জীবনী ও ইসলামী সভ্যতার নানা নিদর্শন তুলে ধরা হয়।
এদিকে সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, হজের পর গত ১৮ জুলাই পর্যন্ত মদিনায় ভ্রমণ করেছেন এক লাখ ১০ হাজার ৫১৮ হজযাত্রী। আর পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয় জানায়, হজের পর ৪১ হাজার ২৮০ জন মদিনা ছেড়ে গেছেন। বর্তমানে শহরে প্রায় ৬৯ হাজার ২২৮ হজযাত্রী অবস্থান করছেন।
সূত্র : আরব নিউজ।
উম্মাহ২৪ডটকম:এসএ