মিশকাত বিন আমির হোসেন
ইসলাম দয়া ও ভালোবাসার ধর্ম। এই ধর্ম হৃদয়ে আশার প্রদীপ প্রজ্বলন করে। অসহায়ের দায়িত্ব নিতে উদ্বুদ্ধ করে। এতিম শব্দের অর্থ নিঃস্ব ও নিঃসঙ্গ।
বাংলা অভিধান অনুযায়ী, মাতা-পিতাহীন বালক-বালিকাকে এতিম বলা হয়। ইসলামি পরিভাষায়, যে শিশুর পিতা ইন্তেকাল করেছেন, শুধু তাকে এতিম বলা হয়।
আল্লাহতায়ালা বলেন-মানুষের অবস্থা হচ্ছে : যখন তার প্রতিপালক তাকে সম্মান, সামর্থ্য বাড়িয়ে দিয়ে পরীক্ষা নেন, তখন সে বলে, ‘আমার প্রতিপালক আমাকে সম্মানিত করেছেন!’ আর যখন তিনি জীবিকা কমিয়ে দিয়ে পরীক্ষা নেন, তখন সে আফসোস করে, ‘আমার প্রতিপালক আমাকে অপমানিত করেছেন।’ সেটা কখনোই নয়। বরং তোমরাই তো এতিমদের সম্মান করো না। অভাবীদের খাবার দিতে তাদের উৎসাহ পর্যন্ত দাও না। উত্তরাধিকারীদের প্রাপ্য সম্পদ গোগ্রাসে আত্মসাৎ কর। সম্পদের প্রতি তোমাদের মাত্রাতিরিক্ত মোহ। (আল-ফাজর ১৫-২০)।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
আল্লাহপাক আরও বলেন-দুনিয়া এবং আখিরাতের ব্যাপারে চিন্তা কর। ওরা তোমাকে এতিমদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, ‘তাদের জন্য সুব্যবস্থা করাটা তোমাদের জন্যই উত্তম। যদি তাদের সঙ্গে একসঙ্গে থাকো, তাহলে তারা তোমাদের ভাইবোন। আল্লাহ জানেন কে অনিষ্ঠকারী, আর কে উপকারী। যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন, তাহলে তোমাদের অবস্থা কঠিন করে দিতে পারতেন। নিঃসন্দেহে তিনি সব ক্ষমতা এবং কর্তৃত্বের অধিকারী, পরম প্রজ্ঞাবান।’ (আল-বাকারাহ ২২০)।
হাদিস শরিফে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো এতিমকে আপন মা-বাবার সঙ্গে নিজেদের (পারিবারিক) খাবারের আয়োজনে বসায় এবং (তাকে এই পরিমাণ আহার্য দান করে যে) সে পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করে, তাহলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। যারা এতিমের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করে, কুরআনে তাদের ইমান ও ধার্মিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি কি দেখেছ তাকে, যে দ্বীনকে অস্বীকার করে? সে তো সে-ই, যে এতিমকে রূঢ়ভাবে তাড়িয়ে দেয়।’ (সূরা : মাউন, আয়াত : ১-২)।
এতিমদের প্রতি সদাচরণ করা এবং তাদেরও পরিপূর্ণ অধিকার প্রদান করা প্রত্যেক মুমিনের ইমানি দায়িত্ব। আল্লাহতায়ালাই তাওফিক দাতা।
উম্মাহ২৪ডটকম:আইএএ