।। মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ ।।
মুসলমানের বৈশিষ্ট্য হলো কথা ও কাজে মিল থাকা। কথা-কর্মে মিল না থাকলে সে সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। কেউ তাকে বিশ্বাস করে না এবং মূল্য দেয় না। যার কথা ও কাজে মিল নেই সে সবার কাছে ঘৃণিত ব্যক্তি।
কথা ও কাজের অমিলকে মহান আল্লাহ তাআলা খুব অপছন্দ করেন। পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা যা করো না তা কেন বলো? তোমরা যা করো না, তা বলা আল্লাহর কাছে খুবই অসন্তোষজনক। ’ (সুরা : সফ, আয়াত : ২-৩)
আবু ওয়াইল (রহ.) বলেন, উসামা (রা.)-কে বলা হলো, কত ভালো হতো! যদি আপনি ওই ব্যক্তির [উসমান (রা.)] কাছে যেতেন এবং তার সঙ্গে আলোচনা করতেন। জবাবে তিনি বলেন, আপনারা মনে করছেন যে আমি তার সঙ্গে আপনাদের শুনিয়ে শুনিয়ে বলব।
আরও পড়তে পারেন-
- মাহে যিলহজ্জ এবং কুরবানীর ফাযায়েল ও মাসায়েল
- পবিত্র কুরবানীঃ ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত করে
- কার উপর ‘কুরবানী’ আদায় করা ওয়াজিব?
- ‘কুরবানী’ মুমিন জীবনে যে শিক্ষা দিয়ে থাকে
- কুরবানীর ইতিহাস ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ
অথচ আমি তার সঙ্গে (দাঙ্গা দমনের ব্যাপারে) গোপনে আলোচনা করছি, যেন আমি একটি দ্বার খুলে না বসি। আমি দ্বার উন্মুক্তকারী প্রথম ব্যক্তি হতে চাই না। আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর কাছ থেকে কিছু শুনেছি, যার পরে আমি কোনো ব্যক্তিকে যিনি আমাদের আমির নির্বাচিত হয়েছেন এ কারণে তিনি আমাদের সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তি এ কথা বলতে পারি না। লোকেরা তাঁকে বলল, আপনি তাঁকে কী বলতে শুনেছেন?
উসামা (রা.) বলেন, আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে আনা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। তখন আগুনে পুড়ে তার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যাবে। এ সময় সে ঘুরতে থাকবে যেমন গাধা তার চাকা নিয়ে তার চারপাশে ঘুরতে থাকে।
তখন জাহান্নামবাসীরা তার কাছে একত্রিত হয়ে তাকে বলবে, হে অমুক ব্যক্তি! তোমার এ অবস্থা কেন? তুমি না আমাদের সৎকাজের আদেশ করতে আর অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করতে? সে বলবে, আমি তোমাদের সৎকাজের আদেশ করতাম বটে, কিন্তু আমি তা করতাম না আর আমি তোমাদের অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করতাম, অথচ আমিই তা করতাম। (বুখারি, হাদিস : ৩২৬৭)
উম্মাহ২৪ডটকম:এমএ