সাইকেলে চড়ে হজে যাত্রকারী নুর মোহাম্মদ (৪৮) নামে সেই আফগান হজযাত্রী মক্কায় পৌঁছেছেন। গত ১০ মে তাকে নিয়ে নয়া দিগন্তের অনলাইনে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়েছিল।
বুধবার নানারকম বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সৌদি আরবে পৌঁছান তিনি। গত মাসে নুর মোহাম্মদ হজ পালনে মক্কার উদ্দেশে বাইসাইকেলে যাত্রা শুরু করেছিলেন।
সৌদি সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ জানায়, সাইকেলে ছয় হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এই বছর হজ পালনের পরিকল্পনা ছিল নুর মোহাম্মদের। অবশেষে হজ পালনের স্বপ্ন পূরণ হলেও সাইকেলে চড়ে যেতে পারেননি তিনি।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত মে মাসের শুরুতে গজনি প্রদেশের কারাবাগ জেলার লায়েক গ্রাম থেকে সাইকেলে যাত্রা শুরু করেন নুর মোহাম্মদ। পথিমধ্যে এক আফগান আলেম শায়খ হাম্মাসি তাকে বিমানের টিকিট দেয়ার প্রস্তাব দিলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। নিজ উদ্যোগেই হজের পবিত্র ভ্রমণের ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু সাইকেলে করে যাওয়ার বাসনা আর পূরণ হয়নি নুরের। নিজ শহর ছাড়ার তিন সপ্তাহ পরই ইরানে গিয়ে আটকা পড়েন। ইরাকের সীমান্ত শহর খোররামশাহর পাড়ি দিতে তার ভিসার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বন্ধুদের আশ্বাসে নানাভাবে চেষ্টা করেও ভিসা পাচ্ছিলেন না। অবশেষে বাধ্য হয়ে নুর মোহাম্মদ আফগানিস্তানের সেই আলেমের সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি ইরানে অবস্থানরত পরিচিত ব্যবসায়ীর মাধ্যমে তার কাবুলে ফেরার ব্যবস্থা করেন।
কাবুলে ফিরলেও নুরের হজের স্বপ্ন হারিয়ে যায়নি। সেখানে হজ প্রস্তুতি কোর্স শুরু করলে সেখানকার কর্মকর্তারা তার হজযাত্রার ব্যবস্থা করেন। জানা যায়, হজের সফর শুরুর কয়েক দিন আগেই জরুরি ভিত্তিতে তার পাসপোর্ট করা হয়। এরপর আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানি ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আনাস হাক্কানির পক্ষ থেকে তার ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়। সব জরুরি কাগজপত্র প্রস্তুতির পর গত মঙ্গলবার (২৮ জুন) তিনি জেদ্দার উদ্দেশে কাবুল ত্যাগ করেন।
গত ২২ জুন আফগানিস্তানের পাকতিয়া প্রদেশের ভয়াবহ ভূমিকম্পের কয়েক দিন পরই নুর মোহাম্মদ হজযাত্রা শুরু করেন। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাড়িঘর ও স্বজন হারানো পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মক্কায় পৌঁছে মহান আল্লাহর কাছে হতাহতদের জন্য দোয়া করব। আল্লাহর কাছে প্রত্যশা, তিনি আমাদের দেশের সব সমস্যার সমাধান করবেন। ’
সূত্র : আরব নিউজ।
উম্মাহ২৪ডটকম:এমএ