অপচয় ও অপব্যয়ের কারণে অনেক সময় মানুষ অর্থসংকটে পড়ে যায়। তখন সংসারের আবশ্যকীয় ব্যয় নির্বাহ করা তার পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ফলে সে হারাম উপার্জনের দিকে ধাবিত হয়। অথচ হারাম খাদ্যে গঠিত দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
রাসুল (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক ওই শরীর, যা হারাম দ্বারা গঠিত তার জন্য জাহান্নাম উপযুক্ত স্থান। (সহিহুল জামে, হাদিস : ৪৫১৯)
অপচয়ের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন পাপ কাজে জড়িয়ে পড়ে। সে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আল্লাহর অবাধ্যতায় ব্যবহার করে এবং তাঁর আনুগত্য থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। ফলে সে হারাম পথে অর্থ ব্যয় করতে উদ্যত হয়। যেমন—মদ, জুয়া, লটারি, ধূমপানসহ সব ধরনের নেশাদ্রব্য পান, যাত্রা, আনন্দমেলা, সিনেমা দেখা ইত্যাদি। এর মাধ্যমে সময় ও অর্থের অপচয়ের সঙ্গে সঙ্গে পাপের চর্চা হয় অবারিত।
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
উপরন্তু ইসলামের নির্দেশনার বাইরে অতিভোজনের মাধ্যমে বরং সে নিজেই নিজের ক্ষতি ডেকে আনে। অথচ ইসলাম অপচয় না করে পরিমিত খাদ্য গ্রহণের সুন্দর নীতিমালা নির্ধারণ করে দিয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, আদম সন্তান তার পেটের তুলনায় অন্য কোনো খারাপ পাত্র ভর্তি করে না। মানুষের জন্য তো কয়েক লোকমা খাদ্যই যথেষ্ট, যা তার মেরুদণ্ডকে সোজা করে রাখবে। আর যদি একান্তই প্রয়োজন হয়, তাহলে পাকস্থলীর এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য, এক-তৃতীয়াংশ পানীয় আর এক-তৃতীয়াংশ নিঃশ্বাসের জন্য রাখবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৮০; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৩৪৯)
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএম