ফল কেনার সময় গায়ে স্টিকারের বিষয়টি হয়তো অনেকেরই চোখে পড়েছে। বিশেষত আপেল বা মালটার গায়ে স্টিকার থাকেই। তবে এমন স্টিকার লাগানোর অর্থ কী?
অনেকেই মনে করেন, ফলের গায়ে লাগানো এই স্টিকারগুলো মনে হয় গুণমানের পরিচায়ক। এমনকি কেউ কেউ ভাবেন এই ফলগুলো বোধহয় দেশের বাহির থেকে আমদানি করা। কিন্তু সত্যিই কি তাই?
ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) জানিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ধরনের স্টিকার ব্যবহার করা হয় ফলের গুণমান, দাম ও কী ধরনের প্রক্রিয়ায় ফলটি উৎপাদিত হয়েছে তা বুঝতে।
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
কিন্তু ভারতে আদৌ এমন কোনো নিয়ম নেই। বরং ভারতে এই ধরনের স্টিকার ব্যবহার করা হয় ফলের খুঁত ঢাকা দিতে কিংবা ফলগুলো অন্য ফলের তুলনায় ভালো এমন প্রমাণ করতে। অনেক সময় এই ধরনের স্টিকার দেখিয়ে বেশি দামও নেয়া হচ্ছে ক্রেতাদের থেকে। কাজেই ফলের গায়ে স্টিকার দেখেই সেই ফল ভাল বলে ভেবে নেয়ার কোনো কারণ ভারতে অন্তত নেই বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
তা ছাড়া ব্যবহৃত স্টিকারগুলো যে আঠা দিয়ে লাগানো থাকে, তার উপরেও বিশেষ নজরদারি নেই। তাই এই ধরনের আঠায় ব্যবহৃত রাসায়নিক উল্টে ফল ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ধরনের স্টিকার কী নির্দেশ করে?
আইএফপিএস জানায়, স্টিকারে যদি চার সংখ্যার কোনো কোড থাকে তবে তার অর্থ, ফলটি উৎপাদনে সাধারণ সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে। কোডটি পাঁচ সংখ্যার ও প্রথম সংখ্যাটি ৮ হলে তার অর্থ, ফলটি জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ফলানো হয়েছে। আর পাঁচ সংখ্যার কোডটি যদি ৯ দিয়ে শুরু হয় তবে তার অর্থ সম্পূর্ণ জৈবিক পদ্ধতিতে ফলানো হয়েছে ফলটি।
সূত্র : আনন্দবাজার
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএম