ষোড়শ শতকে মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে ফসল রোপণ ও কর আদায় সহজ করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়বাংলা বর্ষপঞ্জি। হালখাতা ও পিঠাপুলি উৎসবের মাধ্যমে আবহমানকাল থেকে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়ে আসছে। মাত্র তিন দশক থেকে একটি মহল মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে মনগড়া ও নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতীক ব্যবহার করে সার্বজনীন বাঙালি সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র উৎসব ও জাতিসত্তার ধর্মীয় বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করছে।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) এক যৌথ বিবৃতিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন উপর্যুক্ত মন্তব্য করেন।
আরও পড়তে পারেন-
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
- উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি
- ‘ইবাদুর রাহমান’ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ ১২টি গুণ
- মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয়
- যে কারণে হিন্দুত্ববাদের নতুন নিশানা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বোধ বিশ্বাসকে উপেক্ষিত করে বাঙালি সংস্কৃতির নামে ব্রাক্ষ্মন্যবাদী সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার নীল নকশা অংকন করা হচ্ছে। মঙ্গল শোভাযাত্রার আশ্রয়ে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে নিজস্ব সংস্কৃতির স্বকীয়তা নষ্ট করে দেয়ার চক্রান্ত স্পষ্ট। মঙ্গল শোভাযাত্রার বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই বলেও নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করেন।
নেতৃবৃন্দ পবিত্র রমজানের ভাবগাম্ভীর্যতা ও সম্মান রক্ষার্থে মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে বিরত থাকতে দেশবাসী ও সচেতন শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ করেন এবং ইসলাম বিধৌত বাঙালি সংস্কৃতি চর্চায় সবার প্রতি আহ্বান করেন।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ