।। আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন ।।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে, আল্লাহ তাআলা তার সকল পাপ মাফ করে দিবেন এবং তাকে জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি দান করবেন। আর তাকে রোযাদারের সমপরিমাণ সওয়াব দিবেন। কিন্তু রোযাদারের সওয়াব থেকে সামান্য পরিমাণও হ্রাস করা হবে না।
হযরত সালমান ফারসী (রাযি.) বলেন- আমরা আরজ করলাম, ইয়া রাসূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমাদের মাঝে অনেকেই দরিদ্র, রোযাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই, তারা এ সাওয়াব কীভাবে অর্জন করবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- যে ব্যক্তি রোযাদারকে একটা খেজুর, সামান্য দুধ কিংবা এক অঞ্জলি সাদা পানি দ্বারাও ইফতার করাবে, তাকেও আল্লাহ তাআলা এ সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো রোযাদারকে তৃপ্তিসহ ইফতার করাবেন, আল্লাহ তাআলা তাকে আমার ‘হাওযে কাওসার’ হতে এমন পানীয় পান করাবেন, ফলে জান্নাতে প্রবেশের আগ পর্যন্ত সে আর পিপাসিত হবে না । (আস সহীহ লি আবী বকর মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক ইবনে খুযায়মা আন নিশাপুরী (মৃত্যু- ৩১১হি.), ৩/১৯১ পৃষ্ঠা, আল মাকতাবাতুল ইসলামী, বৈরুত, লেবানন)।
ইফতারের দোয়া
ইফতারের সময় কি পড়বে এ বিষয়ে হাদীস শরীফে এসেছে যে-
হযরত মুয়াজ ইবনে যুহরা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তাঁর কাছে পৌঁছেছে যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইফতার করতেন, তখন বলতেন- “আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিযকিকা আফতারতু” (আল্লাহ আমি তোমারই জন্যে রোযা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিকে রোযা খুলছি। (সুনানু আবী দাউদ, বাবুল কাওলি ইনদাল ইফতার)।
আর ইফতার শেষে নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়তেন। যেমনটাই হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইফতার করতেন, তখন বলতেন- “যাহাবায যামাউ ওয়াব তাল্লাতিল উরূকু ওয়া সাবাতাল আজর ইনশাআল্লাহ” (তৃষ্ণা দূর হলো, শিরা উপশিরা সিক্ত হলো এবং আল্লাহ চাহে তো সাওয়াবও নির্ধারিত হল”। (সুনানে আবি দাউদ, বাবুল কওলি ইন্দাল ইফতার)।
লেখক: মুফতি, মুহাদ্দিস, মুফাসসীর ও সহকারী পরিচালক- জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ