ঢাকায় কলেরার প্রকোপ রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। গত ৬০ বছরের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি। গত মঙ্গলবার আইসিডিডিআরবির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১২৭২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ সংখ্যা কিছুটা কমলেও তা হাজারের নিচে নামেনি।
ঢাকার বাইরে অনেক হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের শয্যাসংখ্যার দ্বিগুণ রোগী ভর্তি রয়েছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ কেউ বাদ নেই।
ডায়রিয়া প্রতিরোধের উপায়
১. বাইরের পানি কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। পানি অবশ্যই ফুটিয়ে খেতে হবে।
আরও পড়তে পারেন-
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
- উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি
- ‘ইবাদুর রাহমান’ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ ১২টি গুণ
- মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয়
- যে কারণে হিন্দুত্ববাদের নতুন নিশানা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’
২. রাস্তার পাশে যেসব লেবুর শরবত, আখের রস বা ফল কেটে বিক্রি করে তা এড়িয়ে চলতে হবে।
৩. বাইরের খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। খুব দরকার হলেও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৪. অত্যধিক গরমে পানির পিপাসা লাগবে এটাই স্বাভাবিক। এ জন্য নিজের সঙ্গে সব সময় পানির বোতল রাখুন।
৫.পচা-বাসি খাবার খাওয়া বাদ দিন। ফ্রিজে রাখা খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৬. প্রতিবার বাথরুম ব্যবহারের পর সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালো করে হাত পরিষ্কার করুন।
আক্রান্ত হলে করণীয়
১. প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর খাবার স্যালাইন খেতে হবে।
২. তরল জাতীয় খাবার যেমন- ডাব, ভাতের মাড়, চিড়ার পানি, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, চালের গুঁড়ার সঙ্গে লবণ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
৩. ডায়রিয়ার সময় অবশ্যই শিশুকে বুকের দুধ দিতে হবে।
৪. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
৫. চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না।
৬. সমস্যা বেশি মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ