মাইমুনা আক্তার: নম্রতা মুমিনের গুণ। এই গুণের মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যায়। আল্লাহর প্রিয় হওয়া যায়। এই গুণের মাধ্যমে বিশ্ব জয় করা যায়।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘সুতরাং আল্লাহর পরম অনুগ্রহ যে তুমি তাদের ওপর দয়ার্দ্র রয়েছ এবং যদি তুমি রূঢ় মেজাজ ও কঠিন হৃদয় হতে, তবে অবশ্যই তারা তোমার কাছ থেকে সরে যেত। সুতরাং তাদের দোষ ক্ষমা করো এবং আল্লাহর কাছে তাদের গুনাহের জন্য ক্ষমা চাও এবং কাজ-কর্মে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করো, অতঃপর যখন (কোনো ব্যাপারে) সংকল্পবদ্ধ হও, তখন আল্লাহরই প্রতি ভরসা করো; নিশ্চয় আল্লাহ ভরসাকারীদের পছন্দ করেন। ’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৫৯)
এখানে মহান আল্লাহ মহানবী (সা.)-এর নম্রতার প্রশংসা করেছেন, আর এটি যে মানুষকে জয় করার একটি চাবিকাঠি, সেদিকেও ইঙ্গিত করেছেন।
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
কারো সঙ্গে রূঢ় ব্যবহার করলেই সম্মান বেড়ে যায় না। অন্যকে সম্মান করলে, নম্র আচরণ করলে মর্যাদা কমে যায় না; বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় কেউ মানুষের সঙ্গে নম্র আচরণ করলে মহান আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সদকা করাতে সম্পদের হ্রাস হয় না। যে ব্যক্তি ক্ষমা করে আল্লাহ তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। আর কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে বিনীত হলে তিনি তার মর্যাদা সমুন্নত করে দেন। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮৬)
এর বিপরীতে অহংকার, রূঢ় স্বভাব মানুষের ব্যক্তিত্ব খাটো করে দেয়, মানুষকে ইহকালে অন্যদের চোখে নিন্দিত করে তোলে, আর পরকালে তাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত করে দেয়।
হারিস ইবনে ওয়াহাব খুযাঈ (রা.) বলেন, আমি নবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি, আমি কি তোমাদের জান্নাতি লোকদের পরিচয় বলব না? তারা দুর্বল এবং অসহায়; কিন্তু তাঁরা যদি কোনো ব্যাপারে আল্লাহর নামে কসম করে বসেন, তাহলে তা পূরণ করে দেন। আমি কি তোমাদের জাহান্নামি লোকদের পরিচয় বলব না? তারা রূঢ় স্বভাব, অধিক মোটা এবং অহংকারী তারাই জাহান্নামি। ’ (বুখারি, হাদিস : ৪৯১৮)
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএম