।। মুফতি আতাউর রহমান ।।
ইসলামী শরিয়ত ঈমান ও আকিদা সংক্রান্ত বিষয়ে অধিক সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে। ফলে ঈমানসংক্রান্ত যেসব বিষয়ে বিশুদ্ধ সূত্রে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় না, সেসব বিষয়ে চুপ থাকা আবশ্যক। মুমিন ব্যক্তি তা প্রমাণ করা বা তা অস্বীকার করা থেকে বিরত থাকবে। কেননা কোনো বিষয়ে প্রমাণ খুঁজে না পাওয়ার অর্থ এই নয় যে, এই বিষয়ে শরিয়তের কোনো বক্তব্য নেই।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই তার অনুসরণ কোরো না; কান, চোখ, হৃদয়—তাদের প্রত্যেকটি সম্পর্কে কৈফিয়ত চাওয়া হবে। ’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত : ৩৬)
উল্লিখিত আয়াতের ব্যাখ্যায় আলেমরা বলেন, ‘তোমরা শুধু ধারণাবশত কোনো কথা বোলো না, কোনো কাজ কোরো না। যদি করো তুমি এমন বিষয়ের অনুসরণ করলে যা সম্পর্কে তোমার জ্ঞান নেই এবং যার বিশুদ্ধতা প্রমাণিত নয়। ’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি যেসব বিষয়ে তোমাদের ছেড়ে দিয়েছি সেসব বিষয়ে আমাকে ছেড়ে দাও (আমি যা বলিনি সে বিষয়ে প্রশ্ন কোরো না)।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
কেননা তোমাদের আগে যারা ছিল তারা বেশি প্রশ্ন করা এবং তাদের নবীদের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে ধ্বংস হয়েছে। আমি যখন তোমাদের কোনো কাজের আদেশ দিই, তখন তা তোমরা সাধ্যানুযায়ী পালন কোরো। আর যখন কোনো কাজ করতে নিষেধ করি, তখন তা পরিত্যাগ কোরো। ’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ২৬১৯)
এসব বিষয়ে মুমিন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর নির্দেশনা অনুসরণ করা যেতে পারে। তিনি বলেন, “যে জানে সে যেন বলে। আর যে জানে না, সে বলবে আল্লাহ ভালো জানেন। কেননা কোনো বিষয় জানা না থাকলে ‘জানি না বলাও’ জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর নবীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘বলুন! আমি এর জন্য তোমাদের কাছে কোনো প্রতিদান চাই না এবং যারা মিথ্যা দাবি করে আমি তাদের অন্তর্ভুক্ত নই। ’ (সুরা সোয়াদ, আয়াত : ৮৬; সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৭৭৪)
আল-মাউসুয়াতুল আকাদিয়া
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএম