ডেল্টার মতো ভয়াবহ হয়ে ওঠেনি ওমিক্রন। এমনকি আল্ফা বা বিটার মতোও ক্ষতি করতে পারেনি করোনার এই রূপটি। যদিও এই ওমিক্রনই এখন আবার নিজের রূপ বদল করছে। কিন্তু তা নিয়েও এখনো উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু পাচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা।
কিন্তু ওমিক্রন করোনার অন্য রূপগুলির মতো ভয়াবহ হয়ে উঠল না কেন? আগামী দিনে কি করোনা নিয়ে তাহলে আর ভয় নেই? এ বিষয়ে কী বলছেন বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে ভারতের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ গগনদীপ কাং এই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। তিনি বলেছেন, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে আমাদের ভাগ্য অনেকটাই ভালো ছিল। তাই খুব বেশি ক্ষতি হয়নি করোনার এই রূপটির ক্ষেত্রে।
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
যদিও ওমিক্রন সংক্রমণ শুরু দিকটায় ছবিটা এরকম ছিল না। অনেকেই ভেবেছিলেন, এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে চলেছে। গগনদীপ কাঙের কথায়, প্রথমে অনেকেই ওমিক্রন সম্পর্কে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। কারণ ব্যাপক মাত্রায় মিউটেশন হয়েছিল এই ভাইরাসটির। তাতে বোঝা যাচ্ছিল না, ভাইরাসটি ঠিক কতটা ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেরেছেন, ওমিক্রন ডেল্টা বা করোনার অন্য রূপগুলির তুলনায় কম ক্ষতিকর।
গগনদীপ কাং বলেন, আমাদের ভাগ্য ভালো ওমিক্রনের ক্ষেত্রে। কেন এমন বলছেন তিনি?
তার মতে, করোনার এই রূপটি যখন মানুষের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে ভাঙছে, ঠিক একই সময়ে মানুষের রোগ প্রতিরোধ শক্তি এই ভাইরাসটির সঙ্গে খাপও খাইয়ে নিচ্ছে। বেশির ভাগ সংক্রমণের ক্ষেত্রে সাধারণত এমনটি দেখা যায় না। সেই কারণেই তার মত, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে আমাদের ভাগ্য ভালো ছিল।
পাশাপাশি তার মতে, মানুষের ভাগ্য ভালো ছিল বলেই ওমিক্রনের মতো একটি ভ্যারিয়ন্টে এসেছিল। তার জায়গায় করোনাভাইরাস মিউটেশন ঘটিয়ে অন্য কোনও রূপ নিলে সেটি আরও মারাত্মক হয়ে উঠতে পারত।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএম