ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন বা থার্টি ফার্স্ট নাইট নামে নজিরবিহীন আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়ানোর কারণে রাজধানীসহ সারা দেশে প্রায় ২০০ স্থানে আগুন লাগার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী।
আজ রবিবার (২ জানুয়ারী) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আতশবাজির বিকট শব্দে মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের অন্যায় উল্লাস জনজীবনেও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। নাগরিকদের সুরক্ষা এবং অর্থ অপচয়ের রোধ করতে পটকা বা আতশবাজি ফোটানো বন্ধ করা খুবই জরুরী।
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
তিনি বলেন, বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়ানোয় রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর। অথচ এগুলো বন্ধের ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের অসহায়ত্বের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।
আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী আরো বলেন, বিধর্মীদের অনুসরণে বর্ষ বরণের নামে এধরনের অবৈধ উল্লাস, অর্থের অপচয় ও বেলাল্লাপনা ইসলাম কস্মিনকালেও সমর্থন করে না। প্রত্যেক অভিভাবকের উচিত তাদের সন্তানদের এসব কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখা। বিষয়টি জন গুরুত্বপূর্ন বিবেচনা করে আগামীতে যে কোন উপলক্ষে ইসলাম ও মানবতা বিরোধি এসব আতশবাজি ও ফানুস উড়ানোব ঘটনা আইন করে কঠোর হস্তে দমন করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ