মানিক নগর সর্দারবাড়ি জামে মসজিদের খতীব ও জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার মুহাদ্দিস মুফতি জাবের কাসেমী নতুন বছরের শুরু লগ্নে বলেছেন, আজ দিন শেষে আগামীকাল আমরা ২০২৩ সাল শেষ করে ২০২৪ সালে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। বিগত বছরটি আমাদের জীবনের অন্যান্য বছরের মতো আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে একটি নিয়ামত ছিলো। এই নেয়ামত থেকে কতটুকু আল্লাহর আনুগত্যে এবং মানুষের কল্যাণে ব্যয় হয়েছে, আর কতটুকু আল্লাহর নাফরমানিতে ও মানুষের অকল্যাণে ব্যয় হয়েছে, আমরা প্রত্যেকেই যার যার নিজের কাছে নিজেই তার হিসাব নেওয়া দরকার।
এই হিসাব নেওয়ার পর বা আত্মপর্যালোচনার পর যার যতোটুকু আল্লাহর আনুগত্যে ও মানুষের কল্যাণে সময় ব্যয় হয়েছে তার জন্য ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করবেন। এবং যতোটুকু তাঁর নাফরমানিতে ব্যয় হয়েছে, তার জন্য আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে তাওবা-ইস্তেগফার বা ক্ষমা চাওয়া জরুরি।
তিনি বলেন, আজ আফসোসের সাথে বলতে হয় বর্তমানে আমাদের অনেকেই নিজের বিগত বছরের হিসেব বাদ দিয়ে বিজাতীয় সংস্কৃতির মাধ্যমে নতুন বর্ষ বরণ করার জন্য শিরক, নাচ, গান, মদ ইত্যাদির ন্যায় ক্ষতিকর কবীরাহ গুনাহে লিপ্ত হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। একজন মুসলমানের জন্য এটা খুবই হতাশার ও লজ্জাস্কর।
মুফতি জাবের কাসেমী বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ভিন্ন কোন জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে সে তাদের দলভুক্ত হবেন। (আবু দাউদ ৩৫১২)। সুতরাং আমাদের সকলের এ বিষয়ে পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন জরুরি যে, যাতে অসতর্কতায় কেউ বিজাতীয় সংস্কৃতি ও কালচারের অনুশীলনে লিপ্ত হয়ে নিজের ঈমান-আমলের ক্ষতি করে না বাসি।
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
তিনি বলেন, বর্তমানে থার্টি ফার্স্ট নাইটের নামে যে বিজাতীয় ও বেলেল্লাপনার সাংস্কৃতি চর্চার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন এক শ্রেণীর মুসলমান, তাদের উদ্দেশ্যে বলব, এটা শুধু ইসলামের দিক থেকেই পরিত্যাজ্য নয়, বরং এই অঞ্চলের হাজার বছরের ইতিহাসে এমন সাংস্কৃতির বিন্দুমাত্র উপস্থিতিও নেই। দেশাত্মবোধ ও জাতীয়তাবোধ থেকেও একজন বাংলাদেশির থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের নামে আতশবাজি, বাদ্যবাজনা, নারী-পুরুষের উদ্যাম নিতৃত্ব ও মাদের পার্টি আয়োজনের সুযোগ নেই। আমি আপনাদের সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাব, যে সংস্কৃতি ধর্ম সাপোর্ট করে না, দেশিয় সংস্কৃতি সাপোর্ট করে না, একজন দায়িত্ববান হিসেবে এমন পরিত্যাজ্য সংস্কৃতি চর্চা থেকে নিজেকে দূরে রাখা কর্তব্য। অতএব আসুন বিজাতীয় সংস্কৃতি বাদ দিয়ে নিজের জীবনের হিসাব নিই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাওফিক দান করুন।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএম