জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে আল্লামা নাজমুল হাসান কাসেমী সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জামিয়াতুন নূর আল কাসেমিয়ার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা৷
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বাদ এশা জামিয়াতুন নূর আল কাসেমিয়া ক্যাম্পাসে এ শুভেচ্ছা জানানো হয়৷
এসময় উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আল্লামা নাজমুল হাসান কাসেমী জমিয়তের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জমিয়তের গৌরবময় অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমানদের ঈমান-আকীদা সংরক্ষণের জন্য ১৯১৯ সনে প্রতিষ্ঠিত হয় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। ইংরেজ খেদাও আন্দোলন’সহ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতায়ও রয়েছে জমিয়তের গৌরবময় ভূমিকা। জমিয়ত প্রতিষ্ঠার প্রথমদিকে ১৯২০ সালের ১ জানুয়ারী ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার দাবী করে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। ১৯৩০ সালে কংগ্রেস পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার দাবী উত্থাপন করে আর মুসলিম লীগ পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার দাবী করে ১৯৪০ সালে। অর্থাৎ মুসলিম লীগ আর কংগ্রেসের প্রায় ২০ বছর আগেই আমাদের জমিয়তের আকাবিরগণ ভারতের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার দাবী করে।
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
তিনি বলেন, জমিয়ত একমাত্র ইসলামী সংগঠন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন মহাসচিব আল্লামা শামসুদ্দীন কাসেমী (রাহ.) সাংগঠনিকভাবে রেজুলেশন করে জমিয়ত নেতা-কর্মীদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করার আহবান জানায়।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অনেক মুরুব্বি চলে গেছেন। বিশেষভাবে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী (রাহ.)এর ইন্তেকালে জমিয়ত পরিবারে এখনো শোকের ছায়া কাটেনি। আমাদের এই শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ৭ নভেম্বর আজিমপুরস্থ কনভেনশন হলে আল্লামা কাসেমী (রাহ.) মহাসচিব নির্বাচিত হওয়ার পর দেশব্যাপী সংগঠন যেভাবে বিস্তৃতি লাভ করেছে ঠিক সেভাবেই ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর কাউন্সিল ঘোষণা হওয়ার পর নেতাকর্মীদের নতুনভাবে শপথ গ্রহণ করতে হবে। আল্লামা কাসেমী (রাহ.)এর জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুনভাবে উদ্যোমী হয়ে পথ চলতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছাঁতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।
আল্লামা নাজমুল হাসান উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আল্লাহর জমিনে আল্লাহর নেযাম প্রতিষ্ঠায় আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী (রাহ.)’সহ আমাদের বুজুর্গানে দ্বীনের আমানত রক্ষায় সকলকে ইখলাসের সাথে জমিয়তের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। দেশের মুসলমানদের ঈমান-আকিদা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশবাসীকে জমিয়তের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান৷ ইসলাম ও দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক ও সোচ্চার থাকার কথাও তিনি বলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
এসময় জামিয়ার শিক্ষা সচিব মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমীকেও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মনোনীত করায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
উপস্থিত ছিলেন জামিয়াতুন নূর আল কাসেমিয়ার সিনিয়র শিক্ষক মুফতি আব্দুল জলিল, মাওলানা ইদ্রিস কাসেমী, মুফতি সা’দ কাসেমী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম আইনী, মাওলানা আহমদুল্লাহ আসেম, মাওলানা ইমরান, মাওলানা আবু দাউদ, মাওলানা সাখাওয়াত ও ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক নূর হোসাইন সবুজ’সহ জামিয়ার শিক্ষার্থীগণ।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ