মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ ‘জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ’ সফলভাবে পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। যাত্রার সময়সূচি কয়েকবার পেছানোর পর আজ বড়দিনে মহাকাশে যাত্রা শুরু করে এ টেলিস্কোপটি।
একে হাবল টেলিস্কোপের উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সহজে বলার স্বার্থে ‘জেডব্লিউএসটি’ এবং ‘ওয়েব’ নামেও ডাকা হচ্ছে একে। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এর নির্মাণ কাজ করেছেন কয়েক দশক ধরে।
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএস) এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির (সিএসএ) যৌথ প্রকল্প হিসাবে নির্মাণ করা হয়েছে জেডব্লিউএসটি। উৎক্ষেপণের প্রাথমিক পর্যায়ে ইএসএর আরিয়ান ৫ রকেটে গোটানো অবস্থায় থাকবে টেলিস্কোপটি। ফ্রেঞ্চ গিনিতে অবস্থিত ইএসএর ‘ইএলএ-৩’ লঞ্চ কমপ্লেক্স থেকে যাত্রা শুরু করবে আরিয়ান ৫।
জেডব্লিউএসটির গন্তব্য পৃথিবী থেকে ১০ লাখ মাইল দূরে। মহাকাশের সবচেয়ে পুরোনো আর গোপন তথ্য উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে টেলিস্কোপটিতে আছে হালের সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি। মহাজাগতিক অন্ধকার যুগ পেরিয়ে মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া প্রথম আলোর কণার তথ্য সংগ্রহ করবে টেলিস্কোপটি।
ধূলিকণার মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা যে গ্রহ-নক্ষত্রগুলো হাবলের নজর এড়িয়ে গেছে, সেগুলো চিহ্নিত করতে পারবে জেডব্লিউএসটি। খালি চোখে ধরা পড়ে না এমন ছায়াপথ আর দানবীয় ব্ল্যাকহোলের গহিনে দেখার সক্ষমতাও আছে টেলিস্কোপটির।
উম্মাহ২৪ডটকম:এসএএম