দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর উস্তাদ মুফতি হুমায়ুন কবির হিদায়া (চতুর্থ খণ্ড)এর দরসে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে দ্বীনের দায়ীদের গুণাবলী সম্পর্কিত আলোচনায় বলেছেন-
“দ্বীনের দায়ীদের (আলেমদের) জন্য বিশেষ চাটিগুণে গুণান্বিত হওয়া জরুরি, যাতে দ্বীন প্রচারে কোন ফাসাদ সৃষ্টি না হয়। যে চারটি বিষয়ে আল্লাহু তায়ালা আপন কালামুল্লায় উপমা পেশ করেছেন।
প্রথমত: উটের মত ইতাআত করা। যেমন উট তার মালিকের পুর্ণ আনুগত্ব প্রকাশ করে, সে যে স্থানেই থাকুক না কেন। মরুভূমির কঠিন পরিবেশে হোক বা সবুজ আবাস ভূমিতে। ঠিক তেমনী প্রত্যেক দায়ীর উচিত, আল্লাহর পূর্ণ আনুগত্ব প্রকাশ করা। চায়, সে যে কোন পরিস্থিতিতে থাকুক না কেন।
দ্বিতীয়: পাহাড়ের মত সবর করা। যেমন, পাহাড় হাজার বছর আপন স্থানে অটল থাকে। যতই দুর্যোগ আসুক না কেন আপন স্থানে অবিচল। ঠিক তেমনি প্রত্যেক দায়ীর উচিত প্রত্যেক অবস্থাতেই সবর এবং দ্বীনের সঠিক আক্বিদা, নীতি-আদর্শ ও কাজে অবিচল থাকা।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
তৃতীয়: আসমানের মত হিম্মত রাখা। কোন কাজে হিম্মত না হারানো, জীবনের প্রত্যেক কর্ম সুদৃঢ় হিম্মতের সাথে সম্পূর্ণ করা। যাতে করে দ্বীনের সকল আনজাম মজবুতের সাথে পরিপূর্ণ হয়।
চতুর্থ: মাটির মতো উদার হওয়া। যেমন মাটি আমাদের পৃথিবীর শুরু থেকে উদারতার শিক্ষা দিয়ে আসছে প্রতিনিয়ত। আপন চিত্তচিরে মানুষের ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে প্রাণি জগতের রিযিকের আঞ্জাম ও কোটি বৃক্ষমালা মানবজাতির জন্য উপহার দিয়ে যাচ্ছে। আপন পিঠে কত জুলুম অত্যাচার চলে, কিন্তু মাটি উদার হয়ে সবার খেদমত করে। ঠিক তেমনি দ্বীনি দায়ীর নিজের প্রবৃত্তিকে দমন করে উদার চিত্তে দ্বীনের খেদমত করতে হবে।”
অনুলিখনে- মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ফারাবী
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ