পবিত্র কোরআন মুখস্থের স্বপ্ন থাকে অনেক মুসলিমের। আর এ স্বপ্ন পূরণে অনেক মুসলিম শিশু-কিশোর একটি দীর্ঘ সময় ব্যয় করেন। আবার অনেকে শত ব্যস্ততার মধ্যেও কোরআন হিফজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখেন।
ট্যাক্সিক্যাব চালিয়ে তিন বছরে কোরআন হিফজ করেন এক ব্রিটিশ মুসলিম। এমন ব্যস্ততার মধ্যে কোরআন মুখস্থ করা অবশ্য বিস্ময়কর ঘটনা। কিন্তু ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। তাই দীর্ঘ অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের পর আবু হাফসা পুরো কোরআন মুখস্থ করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় আবু হাফসা বলেন, ‘আমি ট্যাক্সিতে কোরআন মুখস্থ শুরু করি। তখন আমার বয়স ৩০ বছর। এই বয়সে কোরআন মুখস্থ করায় অনেকে বেশ অবাক হয়। আমি প্রথমে একটি ছোট কোরআনের কপি নিয়ে রাখি। ট্যাক্সিতে করে যাতায়াতকালে একটি আয়াত করে মুখস্থ করতে থাকি। এ সময় একটি আয়াত বারবার পাঠ করি। আবার যাতায়াতের সময় আরেক আয়াত পড়তে থাকি।’
আরও পড়তে পারেন-
- উলামায়ে কেরামের প্রতি মুফতি শফী (রাহ.)এর দরদমাখা নসিহত
- কম্পিউটার চিপ শিল্প: জলবায়ুর উপর ফেলছে ভয়ঙ্কর প্রভাব
- ইরানি বিজ্ঞানীকে যেভাবে হত্যা করে ইসরায়েল
- ব্যতিক্রমী এক ইসলামী আইন গবেষক
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
‘আপনি প্রতিদিন এক পৃষ্ঠা করে পড়লে একপারা সম্পন্ন করতে ২০ দিন লাগবে। এভাবে পুরো কোরআন মুখস্থ করতে দেড় বছর সময় লাগবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিদিন পড়তে পারিনি। অনেক সময় প্রতিদিন কোরআন পড়া আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল। তাই আমার তিন বছর সময় লেগেছে।’
অবশ্য শিক্ষকের সামনে বসে শিশু-কিশোরদের কোরআন মুখস্থের পদ্ধতি ও এর মধ্যে অনেক তফাত রয়েছে। কারণ তারা অত্যন্ত সঠিক পন্থায় কোরআন মুখস্থ করে। তা ছাড়া মহান আল্লাহর গ্রন্থ মুখস্থ করা অবশ্য না করার চেয়েও অনেক উত্তম।
সূত্র: ইলমফিড।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ