তুরস্কের সাকরিয়া প্রদেশের সুগৎলু জেলা শহরে এক নবনির্মিত মসজিদে অলংকরণের কাজ করছিলেন এক আরবীয় ক্যালিওগ্রাফার।
তার সুনিপুন শৈল্পিক হাতে মস’জিদের দেয়াল, দরজা এক অনন্য দৃষ্টিনন্দন স্থাপনায় রুপ নিচ্ছিল। দেয়ালে দেয়ালে ফুটে উঠছিল পবিত্র কোর’আনের আয়াত ও আরবী হরফের দৃষ্টিনন্দন কারু’কাজ।
কিন্তু কাজ অসমাপ্ত রেখে হঠা’তই ওই আরবীয় ক্যালিওগ্রাফার মারা যান। নতুন নিযুক্ত ক্যালিওগ্রাফার একইরকম কাজ করতে অ’পারগতা প্রকাশ করে।
এতে চিন্তিত হয়ে পড়েন মস’জিদ কর্তৃপক্ষ। এসময় ওই আরবীয় ক্যালিওগ্রাফারের স্ত্রী মস’জিদ কর্তৃপক্ষকে জানান, তিনি তার স্বামীর মতই কাজ করতে সক্ষম।
আরও পড়তে পারেন-
- উলামায়ে কেরামের প্রতি মুফতি শফী (রাহ.)এর দরদমাখা নসিহত
- কম্পিউটার চিপ শিল্প: জলবায়ুর উপর ফেলছে ভয়ঙ্কর প্রভাব
- ইরানি বিজ্ঞানীকে যেভাবে হত্যা করে ইসরায়েল
- ব্যতিক্রমী এক ইসলামী আইন গবেষক
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
এরপর কর্তৃপক্ষ তার হাতেই তুলে দেয় মসজি’দের অলঙ্করণের কাজ। অতঃপর স্বামীর অসমাপ্ত কাজটি তিনি দক্ষতার স’ঙ্গেই সমাপ্ত করেন।
মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, স্বামীর অসমাপ্ত কাজ অসামান্য দক্ষ’তার সঙ্গে সুসম্পন্ন করেছেন ওই নারী। মৃত ক্যালিওগ্রাফারের মতোই তার স্ত্রীর কাজগুলো বেশ আকর্ষিত ও দৃষ্টিনন্দন হয়েছে বলে জা’নান তারা।
তুরস্কের জনপ্রিয় পত্রিকা শাফাক ও আনাদোলুতে প্রকাশ, মসজিদ অলঙ্করণের কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় হঠাতই মারা যান প্রথমে নিযুক্ত এক ক্যালিওগ্রাফার। তার মৃত্যুর পর স্ত্রীর হাতে আঁকা কোরআনের আয়া’তের ক্যালিওগ্রাফি ও আলপানাগুলোতে যেন মৃত স্বামীরই অনন্য প্রতিভা ফুটে ওঠে।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ