Home মহিলাঙ্গন আদর্শ নারী এবং তার দ্বীনি দায়িত্ব

আদর্শ নারী এবং তার দ্বীনি দায়িত্ব

।। আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন ।।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, “মহিলাদের প্রতি পুরুষদের যেমন অধিকার রয়েছে, তেমনি পুরুষদের প্রতিও মহিলাদের অধিকার রয়েছে। আল্লাহ তাআলা সমগ্র সৃষ্টি জগতে মানব জাতিকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্ব সম্মানিত ও সুন্দরময় আকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। যেমন- আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, “ওয়ালাক্বাদ র্কারামনা বনি আদাম” অর্থাৎ- নিশ্চয় সম্মানিত করেছি আদম সন্তানকে। “ওয়ালাক্বাদ খালাক্বনাল ইনসানা ফি আহ্সানি তাক্ববীম” অর্থাৎ- নিশ্চয় আমি সুন্দরময় গঠন দিয়ে সৃষ্টি করেছি মানুষকে।

মানুষের মধ্যে আল্লাহ তাআলা এক দলকে পুরুষ বানিয়েছেন আর একদলকে মহিলা বানিয়েছেন। আর আল্লাহ তাআলা কোন পুরুষ ও মহিলা ছাড়াও মানুষ সৃষ্টি করতে পারতেন, তদ্রুপ পুরুষ ছাড়া শুধু মেয়ে হতে বা মেয়ে ছাড়া শুধু পুরুষ থেকে সৃষ্টি করার শক্তি থাকা সত্ত্বেও মানব জাতির বিস্তারের জন্য মাধ্যম করেছেন পুরুষ ও মহিলাদেরকে। তাই ইসলামে এদিক দিয়ে পুরুষদেরকে যেমন সম্মান ও ব্যক্তি স্বাধীনতা দিয়েছেন। অন্যদিকে মহিলাদেরকেও মর্যাদাবান করেছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে উভয়কে সমান অধিকারও দেয়া হয়েছে।

যেমন- আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, “ওয়ালাহুন্না মিসলুল্লাজি আলাইহিন্না বিলমাআরূফ” অর্থাৎ পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই একের উপর অন্যের হক্ব বা অধিকার রয়েছে। কিন্তু এটা বুঝতে হবে, অনেক ক্ষেত্রে গিয়ে পুরুষ-মহিলাকে সমান অধিকার দিয়ে থাকলেও এক স্তরে পুরুষদেরকে মহিলাদের উপর প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

যেমন- আল্লাহ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, “আর-রিজালু ক্বাওয়ামুনা আলান্নীসা”। অর্থাৎ- পুরুষরা মহিলাদের যিম্মাদার। আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ করেন, “ওয়ালিররিজালি আলাইহিন্না দারজা” মহিলাদের উপর পুরুষদের এক স্তর ফযীলত বেশী।

আর এটা যুক্তিসঙ্গত কথা যে, দুনিয়ার যে কোন শৃংখলা ও নেজামের জন্য পরিবার, কাউম (গোত্র) বা জাতের উপর এক জন প্রতিনিধি থাকতে হয়। তাই আল্লাহ তাআলা মহিলাদের উপর পুরুষদেরকে হাকেম বা যিম্মাদার ও প্রতিনিধি করে দিয়েছেন। মহিলারা সর্বক্ষেত্রে যে পুরুষদের সমান অধিকার রাখে না, তা মানুষের সৃষ্টি পদ্ধতিতে আল্লাহ তাআলা ইঙ্গিত দিয়েছেন। যেমন- হযরত হাওয়া (আ.)কে আদম (আ.) বামপাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে যেভাবে আদম (আ.)কে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, তদরূপ হযরত হাওয়া (আ.)কেও মাটি দিয়ে সৃষ্টি করতে পারতেন।

এটা মহিলাদের জন্য মানহানি নয়। যেমন- কোন ডাক্তার যদি কোন রুগীকে বলে যে, তোমার শরীরের প্রধান অঙ্গ হল, তোমার মাথা অথবা তোমার দিলের (অন্তরের) অনুগত হল পূর্ণ শরীর; এ থেকে উদ্দেশ্য এটা নয় যে, শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গ তথা হাত-পা’কে হেয় করা হয়েছে।

ইসলামের দৃষ্টিতে নারীদের মর্যাদা

* আল্লাহ তাআলা মহিলাদেরকে নবী, রাসূল, গাউছ, কুতুব, আউলিয়া, দরবেশ, সবার মা হিসেবে উপাধি দিয়েছেন এবং মায়ের হক আদায় করার জন্য কুরআন ও হাদীসে অনেক উৎসাহিত করা হয়েছে।

* মহিলাদেরকে আল্লাহ তাআলা ঘরে পর্দার সাথে থাকার হুকুম করেছেন। প্রচলিত রীতিতেও আমরা মূল্যবান জিনিষকে ঢেকে হিফাজত করে থাকি।

* কুরআন ও হাদীসে মহিলাদেরকে পুরুষদের চোখের মণি ও সান্ত¡নার মাধ্যম বলা হয়েছে।

* মহিলাদেরকে রোযগারে দায়িত্ব দেয়নি এবং পুরুষদেরকে তাদের যাবতীয় খরাচাদী বহন করার দায়িত্ব দিয়েছেন।

* মহিলাদেরকে ভরণ-পোষণের অনেক ফযীলত বর্ণনা করেছেন। যেমন- যে ব্যক্তি ৩টি মেয়েকে ভরণ-পোষণ করে দ্বীন শিক্ষা দিবে, সেই জান্নাতে রাসূলের নিকট থাকবে।

* কুরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, মহিলাদের উপর যেভাবে পুরুষদের অধিকার রয়েছে, তদ্রুপ পুরুষদের উপরও মহিলাদের অনেক অধিকার রয়েছে।

* মহিলাদের খাওয়া-দাওয়া, পোষাক-পরিচ্ছেদ, বাসস্থান ইত্যাদি পুরুষদের দায়িত্বে ন্যস্ত।

* স্বামী স্ত্রীর মিলনের মাধ্যমে উভয়ের যৌনত্ব নিবৃত্ত হলেও কিন্তু মহিলাদেরকে সম্মানিত করে স্বামীর উপর মহর ওয়াজিব করা হয়েছে।

* পুরুষের উপর তার ছেলে মেয়ের খরচাদি বহন করতে হয় এবং শরীয়তে তা ওয়াজিব করে দিয়েছে। পিতার সামর্থ থাকতে মহিলাদের উপর সন্তানদের খরচাদির দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

* পুরুষদের জন্য শরীয়তের যত বিধান রয়েছে মহিলাদের উপর, সব বিধান জরুরী নয়। যেমন- ঈদ, জুমা, জিহাদ ইত্যাদি

* দুনিয়াবী দিক দিয়ে যেভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহিলাদেরকে সম্মানিত করা হয়েছে, তেমনিভাবে সাওয়াবের দিক দিয়েও তাদেরকে অনেক মর্যদাশীল করেছেন। যেমন- একজন নেক্কার মহিলা সত্তর জন পুরুষ ওলী হতে উত্তম।

অপরাপর ধর্মে নারীর কতটুকু মর্যাদা দেয়া হয়েছে

জাহিলিয়্যাতের যুগে আরবসহ পৃথীবির বিভিন্ন দেশে নারি জাতির প্রতি যে জুলুম নির্যাতন নিপীড়ন করেছে, তার উপর শুধু তারাই বুঝতে পারবে, যারা ইসলাম ধর্ম এবং তার পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মের মহিলাদের অধিকার ও মর্যাদার মানচিত্র সামনে রেখে একটু গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করবে। এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে পাঠকদের সামনে নিম্নে কিছু তথ্য তুলে ধরছি।

* ইসলামের পূর্বে নারী জাতি ছিল পুরুষদের ভোগের সামগ্রী। একজন পুরুষ তার ধন-শক্তি, ওজন-শক্তি হিসেবে অগণিত নারীর সাথে মিলামিশা তথা সম্ভোগে লিপ্ত হত। তখন জোর পূর্বক শক্তি প্রয়োগ করে নারীদেরকে স্ত্রী বা দাসী হতে বাধ্য করা হত।

* ইসলামের পূর্বে কোন ধর্মে মেয়ে সন্তান লালন পালনের জন্য ধর্মের পক্ষ থেকে উৎসাহিত করা হতো না। বরং কোন পরিবারে কন্যা সন্তান জন্ম নিলে, লজ্জায় ঘৃণায় পিতা কাউকে চেহারা দেখাত না। অনেকেই জন্মের পর পরই কন্যা সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করত। কেউ কেউ কন্যা সন্তানকে জীবন্ত মাটিতে পুঁতে কবর দিত। আবার অনেকে মহল্লা থেকে দূরবর্তী স্থানে গর্ত খনন করে রাখত।

অতঃপর কন্যা সন্তান জন্মের পর মা জননী থেকে ধোকা ও প্রতারণা করে নবজাতক কন্যাকে নিয়ে গিয়ে পূর্ব হতে তৈরীকৃত গর্তে ফেলে দিত। কখনো কখনো পাথর ছুঁড়ে সেই কঁচি কন্যার মাথা থেতলে চুর্ণ বিচুর্ণ করে আÍপ্রশান্তি লাভ করত। যার প্রতিরোধে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, “ওয়াইজাল মাউ ঊদাতু সুঈলাত বিআইয়্যি যাম্বিন কুতিলাত”। অর্থাৎ- যখন জীবন্ত সমাধিস্থ কন্যা সন্তানকে জিজ্ঞাসা করা হবে, কি অপরাধে তোমাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল?

আরও পড়তে পারেন-

* এক পিতা স্বীয় হস্তে নিজ কন্যা হত্যার বিবরণ দিতে গিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (সা.)এর দরবারে বলেন, আমার একটি মেয়ে হয়েছিল। সে আমার খুব আদরের ছিল। বড় হয়ে সে আমার এমন ভক্ত হয়ে ছিল যে, ডাকা মাত্র দৌড়ে কাছে চলে আসত। এক দিন আমি তাকে বাড়ি থেকে অনেক দূরে জন শন্য এক প্রান্তরে নিয়ে গেলাম। সেখানে একটি কূপ দেখতে পেয়ে আমি আমার মেয়েটিকে ধাক্কা মেরে সে অন্ধকার কূপে ফেলে দিলাম। তার শেষ শব্দ যা আমার কানে এল, তা ছিল “হায় আব্বা, হায় আব্বা”।

তার এ কথাগুলো শ্রবণ করে রাসূলুল্লাহ্ (সা.) কেঁদে ফেললেন এবং তার নয়ন যুগল দ্বারা অশ্রুর ধারা প্রবাহিত হতে লাগল। উপস্থিত সাহাবাগণের মধ্যে হতে একজন বলে উঠলেন, জনাব! তুমি কেন শুধু শুধু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কাঁদালে। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করলেন, তোমরা তাকে বাঁধা দিওনা। মেয়ের প্রতি তার যেই কঠিন অনুভূতি আছে, সে সম্পর্কে তাকে ব্যক্ত করতে দাও।

লোকটি পুণরায় তার কাহিনী বলতে লাগল। যা শ্রবণ করে রাসূলুল্লাহ্ (সা.) আরো বেশি কাঁদলেন, যাতে তার দাড়ি মোবারক চোখের পানিতে ভিজে গেল। এরপর তিনি বললেন, “জাহিলিয়্যাতের যুগে যা কিছু হয়েছে, তা আল্লাহ তাআলা মাফ করে দিয়েছেন। তুমি এখন নতুন জীবন শুরু কর।

* এভাবে একবার দুই ভাই রাসূলুল্লাহ্ (সা.)এর দরবারে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার আম্মা আমাদের লালন পালন করেছেন, মেহমানদারী করতেন অনেক বেশী, কিন্তু জাহিলিয়্যাতের যুগে আমার এক বোনকে যিন্দা দাফন করেছে এবং ইসলামের পূর্বে আমার আম্মার মৃত্যু হয়ে গেছে, এখন আমার আম্মা জান্নাতে যাবে, না জাহান্নামে যাবে? আল্লাহর রাসূল বললেন, তোমার আম্মা জাহান্নামে। এভাবে অনেক ঘটনা আছে, যা শুনলে লোমহর্ষ হয়ে যায়।

* জাহিলিয়্যাতের যুগে পিতার ইন্তিকালের পর অন্যান্য ত্যাজ্য সম্পত্তির ন্যায় ছেলেরা পিতার রেখে যাওয়া স্ত্রী ও কন্যাদেরকে পৃথক সম্পত্তি স্বরূপ পারস্পরিক ভাগ বাটোওয়ারা করে নিত এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাদের দ্বারা সেবাযত্ন গ্রহণ করত।

* কোন কোন নরপশু জুয়া খেলায় নিজের স্ত্রীকে বাজি রাখত এবং খেলায় পরাজিত হলে, স্বেচ্ছায় নিজের প্রাণপ্রিয় স্ত্রীকে অপরের হাতে তুলে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করত না।

* কোন কোন ব্যক্তি বিবাহের দুই তিন দিন পর স্ত্রীকে তালাক দিয়ে নতুন স্ত্রী গ্রহণ করায় অভ্যস্ত ছিল, তাতে কোন বাধা ছিল না।

* স্ত্রীকে কারণে অকারণে হত্যা করে দিত।

* ইসলামের পূর্বে প্রাচীন আরবে একজন সম্পদশালী মহাজনের অধীনে অজস্র ক্রীতদাস অবস্থান করত, যাদের সার্বিক অবস্থা খুবই করুণ ছিল। তাদের সথে হিংস্র পশুর মত নিষ্ঠুর অমানবিক আচরণ করা হত। বিভিন্ন স্থান থেকে নারীদেরকে অপহরণ করে নিয়ে এসে তাদেরকে দাসী বৃত্তিতে বাধ্য করত। প্রতিবাদ বা অনীহা প্রকাশ করলে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হত। এ সব দাসীদেরকে যখন ইচ্ছা হত, স্বীয় মালিকের মনো বাসনা পুর্ণ করতে হত।

* মালিক ইচ্ছা করলে প্রতিমা মূর্তির সম্মুখে নিজদাস-দাসীকে বলী পর্যন্ত দিতে পারত।

* মালিকরা ইচ্ছা অনুযায়ী এ সব দাসীদেরকে বিভিন্ন হাট-বাজারে গরু-ছাগলের মত বেচা-কিনা করতে পারত। উল্লিখিত এ সমস্ত উক্তি দ্বারা বুঝা গেল যে, ইসলামের পূর্বে নারী জাতির সম্মান ও ইজ্জত কি পরিমাণ ছিল।

* যেভাবে জাহেলিয়্যাতের যুগে ছিল নারী জাতির এই করুণ অবস্থা, তার থেকেও নারী জাতি বেশী অপদস্থ ছিল।

* যেমন ইহুদীরা স্ত্রীদেরকে হায়েয (মাসিক ঋতুর) সময় এত বেশী অপবিত্র ও ঘৃণা করত যে, ঋতুবর্তী নারীর হাতের রান্না করা খাদ্য খেত না, এমন কি তাদের হাতের পানি পর্যন্ত তারা পান করত না। তাদের ধোয়া কাপড় পরিধান করত না। ঋতুবর্তী নারীর সংশ্রবও তারা অপবিত্র বলে গণ্য করত। এ কারণে তারা ঋতুর সময় নারীকে সমাজ-সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন করে একাকী জীবন যাপন করতে বাধ্য করত। ঋতুবতী নারীর রাত্রি যাপনের জন্য প্রস্তুত করা হত বাড়ির অতি দূরে মুরগীর খোয়াড় বা গোয়াল ঘর সদৃশ কুঁড়ে ঘর। আর পরিধেয় বস্ত্র হিসেবে পরিধান করতে দিত ছেঁড়াফাড়া পুরাতন কাপড়।

* হিব্রু কুমারী বা তাদের পিতার বাড়িতে চাকরানির চেয়েও বেশী একটা মার্যাদা পেত না।

* পিতা শিশুকালেও কন্যাকে বিক্রি করতে পারত।

* মেয়েরা পিতার সম্পত্তির উত্তরসূরী বা উত্তরাধিকারী হত না। নারী শুধু অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হত। সেই যুগে নারী তার স্বামীর বা পিতার অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হত।

* কোন এতিম কন্যা সন্তানদের ধন-সম্পদের লালসায় এবং রূপ লাবণ্যের মোহে তাদেরকে স্ত্রী রূপে গ্রহণ করত। কিন্তু এসব এতীম মেয়েদের কোন যোগ্য দায়িত্বশীল অভিভাবক না থাকার কারণে তাদের স্বামীরা তাদের সমস্ত মাল গ্রাস করত। অতঃপর তালাক দিয়ে মেয়েকে ঘর থেকে বের করে দিত। এবং যাদেরকে তালাক দিত না, তাদের উপর চালানো হত অমানুষিক জুলুম নির্যাতন ইত্যাদি।

* হিন্দু ধর্মে নারি জাতির উপর যে জুলুম নির্যাতন চলত, তা বর্ণনার বাইরে। যেমন- কোন মহিলার স্বামী মারা  গেলে সেই আর কোন স্বামী গ্রহণ করতে পারবে না, স্ত্রীর মাথার চুল কর্তন করা হত।

* স্বামী মারা গেলে স্বামীকে যেভাবে জ্বালানো হত, স্ত্রীকেও জীবিত ঐভাবে জ্বালানো হত। আর ইসলাম বলে স্বামী মারা গেলে কমপক্ষে ৪ মাস ১০ দিন স্ত্রীকে বাহিরের যে কোন চিন্তা হতে মুক্ত করে ঘরের মধ্যে সম্মানের সাথে রাখ।

[চলবে]

– আল্লামা মুফতি জসীমুদ্দীন, মুফতি, মুহাদ্দিস ও মুফাসসির এবং সহকারী পরিচালক- আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।