মাওলানা মুহাম্মদ ওমর কাসেমী ২০ এপ্রিল ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে হাটহাজারী থানার অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ-পূর্ব মেখল গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। নিজ এলাকার বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করার পর মেখল হামিউস সুন্নাহ মাদরাসায় ভর্তি হন। সেখানে শুরু থেকে শরহে জামী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। এরপর সরাসরি দারুল উলূম দেওবন্দ গমন করেন।
দারুল উলূম দেওবন্দে এক বছর লেখাপড়া করে হাটহাজারী ফিরে আসেন। দারুল উলূম হাটহাজারীতে হেদায়া, মেশকাত, ফুনুনাত পড়েন। ১৯৮৪ সালে দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করেন। ১৯৮৫ সালে পুনরায় দারুল উলূম দেওবন্দ গমন করে সেখানে দাওরায়ে হাদীস দ্বিতীয়বারের মতো পড়েন এবং পরবর্তী বছর মুফতী মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহি রহ.-এর কাছে ইফতার বিভিন্ন কিতাব পড়েন।
দেওবন্দ থেকে দেশে ফেরার পর ১৫ রমজান ১৪০৭ হিজরীতে দারুল উলূম হাটহাজারীতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। সে সময় থেকে আজ দীর্ঘ ৩৬ বছর অবদি অত্যন্ত দক্ষতা এবং সুনামের সাথে দারুল উলূম হাটহাজারীর খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
দারুল উলূম হাটহাজারীতে তিনি প্রাথমিক স্তর থেকে দাওরায়ে হাদীস পযর্ন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিতাবগুলোর দরস দিয়েছেন। বর্তমানে মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড, হেদায়া ১ম খন্ড এবং মুখতাসারের দরস দিচ্ছেন। এছাড়া দারুল উলূম হাটহাজারীর বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজেও তিনি যুক্ত আছেন। তন্মধ্যে জামিয়ার দারুল ইকামা, তালীমাত, মাতবাখ ইত্যাদির দায়িত্ব অন্যতম। বর্তমানে তিনি জামিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস এবং সহকারী শিক্ষা পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
তাঁর রচিত বইয়ের মধ্যে আহকামে হজ ও উমরাহ, ফাজায়েল মাসায়েল তিলাওয়াতে কুর’আন, আহলে হাদীসের মুখোশ উন্মোচন, এবং তোহফায়ে রমজান অন্যতম।
১৪১০ হিজরীতে তিনি শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফি রহ.-এর হাতে বায়’আত গ্রহণ করেন এবং ১৪১১ হিজরীতে তাঁর কাছ থেকে খিলাফত লাভ করেন।
আল্লাহ তা’আলা তাঁকে হায়াতে তাইয়্যিবা দান করুন এবং সকল প্রকারের ফিতনা থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ