দেশি ফল আমড়া সাধারণ কাঁচা খেতে টক বা টক-মিষ্টি হয়। তবে পাকলে টকভাব কমে আসে এবং মিষ্টি হয়ে যায়। এটি কাঁচা ও পাকা রান্না করে বা আচার বানিয়ে খাওয়া যায়। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আমড়ার মৌসুম।
এতে প্রায় ৯০ ভাগই পানি, ৪-৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট ও সামান্য প্রোটিন থাকে। ১০০ গ্রাম আমড়ায় ভিটামিন-সি পাওয়া যায় ২০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ২৭০ মাইক্রোগ্রাম, সামান্য ভিটামিন-বি, ক্যালসিয়াম ৩৬ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪ মিলিগ্রাম। আমড়ায় যথেষ্ট পরিমাণ পেকটিন জাতীয় ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান থাকে।
ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল এটি (প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় ২০ মিলিগ্রাম পাওয়া যায়)।
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ:
১. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
২. রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
৩. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান থাকায় আমড়া বার্ধক্যকে প্রতিহত করে।
৪. আমড়াতে প্রচুর আয়রন থাকায় রক্তস্বল্পতা দূর করতে বেশ কার্যকর।
৫. আমড়া খেলে মুখের অরুচিভাব দূর হয়। ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়।
৬. বদহজম ও কোষ্টকাঠিন্য রোধে আমড়া উপকারী।
৭. রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৮. সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে এটি বেশ উপকারী।
৯. হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ