গ্রীষ্মকালকে মধুমাস বলা হয়। নানা রকম ফলে এসময় বাজার ছেয়ে যায়। আম,লিচু,কাঁঠাল কমবেশি সবারই পছন্দের। তবে কাঁঠাল আমাদের দেশের জাতীয় ফল হলেও অনেকেই গন্ধের জন্য পছন্দ করেন না। তবে পাকা কাঁঠাল না খেলেও কাঁঠালের আরো অনেক গুণাগুণ আছে। কাঁচা কাঁঠাল যেমন তরকারি হিসেবে খাওয়া যায় তেমনি কাঁঠালের বীজও অনেক উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁঠাল বীজের উপকারিতা।
১) খাদ্যের নানা উপাদান একসঙ্গে প্রবেশ করবে শরীরে। ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি, প্রোটিন— সব আছে কাঁঠালের বীজে। সঙ্গে আছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। রক্তাল্পতার সমস্যা থাকলে এই বীজ খাওয়া জরুরি।
২) ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই থাকে কাঁঠালের বীজে। তার প্রভাবে কোলেস্টেরল কমে। সঙ্গে হজমের সুবিধাও হয়। হজম প্রক্রিয়া ভাল হওয়ায় ওজন কমাতেও সাহায্য করে কাঁঠালের বীজ।
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
৩) ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও এই বীজ বেশ উপকারি। এতে উপস্থিত ফাইবার খাদ্যের কার্বোহাইড্রেট শুষে নেয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি বাড়তে পারে না।
৪) চোখের জন্যও উপকারি কাঁঠালের বীজ। এতে উপস্থিত ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তির যত্ন নেয়।
রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে কাঁঠাল বীজ। তারপর কড়াইয়ে হালকা নেড়ে নিতে হবে। এরপর চাইলে মুগ ডাল দিয়ে, সবজি দিয়ে আবার বিকালের নাস্তায় চায়ের সাথেও খাওয়া যায়।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ