জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখের রোজা কোন দেশের হিসেবে রাখবে, কখন রাখবে, এ বিষয়ক মতানৈক্য দীর্ঘদিনের। কেউ কেউ সৌদি আরবে হাজীদের আরাফার ময়দানে অবস্থানের দিন রোজা রাখার কথা বলেন।
বিপরীতে মুহাক্কিক উলামায়ে কিরাম যে দেশে যিনি আছেন তাদের চাঁদের হিসাবে ৯ তারিখে রোযা রাখার কথা বলেন। কেননা রাসুল সা. ইরশাদ করেন صوموا لرؤيته وافطروا لرؤيته তোমরা চাঁদ দেখে রোযা রাখ এবং চাঁদ দেখেই রোযা রাখা বন্ধ কর। উক্ত হাদীসে রোযা পালন করা কে চাঁদের সাথে যুক্ত করা হয়েছে।
তাছাড়া হাজিদের আরাফায় উকুফের দিন সবার জন্য রোজার বিধান দেওয়া হলে, যে দেশে সৌদি আরবের একদিন পূর্বে চাঁদ উঠে তারা কিভাবে রোযা রাখবে?
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
হাজিদের আরাফায় অবস্থানের দিন তো তাদের হিসাবে ঈদের দিন। তাহলে তারা কি ঈদের দিন রোযা রাখবে? তদুপরি আহ্নিক গতির তারতম্যের কারনে হাজীদের আরাফায় অবস্থানের সময়টা কোথাওবা রাত। তাহলে সে সময়টা কারো হিসাবে রাত হলে তবুও তারা কি রাতেই রোজা রাখবেন?
তাছাড়া উকুফে আরাফার ফজীলত তো হাজীদের জন্য। তাদের জন্য সিয়াম পালন মাকরুহ্।যা রা হাজী নন তারা সিয়ামের মাধ্যমে সে বরকত লাভে সচেষ্ট হবে। আর নামায রোজা তো প্রত্যেকের নিজ এলাকার সাথে সম্পৃক্ত ইবাদাত।
যেমন তাকবীরে তাশরীক সবাই নিজ দেশের সময়ানুযায়ী নয় জিলহজ্জ ফজর থেকে শুরু করে। তেমনি সিয়াম ও নিজ অঞ্চলের নয় তারিখেই পালন করবে।
সূত্র: দারুল উলুম করাচির ফেসবুক পেজ।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ