মসজিদুল আকসা চত্বরের পাশে একটি বাড়িতে থাকেন উম্মে মুহাম্মদ। তাঁর ঘর থেকে কুব্বাতুস সাখরা বা ডোম অব দ্য রক দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ঘরের জানালা দিয়ে কুব্বাতুস সাখরার সুন্দর দৃশ্যের ছবি ব্যাপক সাড়া জাগায়।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাতকারে তাঁর বাড়িটি দুই শত মিলিয়ন ডলার মূল্যে বিক্রয়ের প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানান তিনি। বরং বিশ্বের সব অর্থ দেওয়া হলেও বাড়িটি তিনি বিক্রয় করবেন না বলে জানান।
এক বিবৃতিতে উম্মে মুহাম্মদ জানান, মসজিদের আকসায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সব কিছু শেয়ার করেন। বাধাহীন মসজিদুল আকসা দেখার অনুভূতি মুসলিম উম্মাহর কাছে অনেক গর্ব ও সম্মানের। তাছাড়া অনেকের কাছে তা অকল্পনীয় বটে।
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
আল জাজিরার এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘তাঁর ঘরের রান্নাঘরটি তাঁর কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান স্থান। শত-শত ঘর ও প্রাসাদ এই ছোট্ট কিচেনের সমমান হতে পারে না। এই ঘরের ভেতর পুরো দিন কাটান। এখানে অবস্থান করা সাধারণ কোনো ঘরে অবস্থানের মতো নয়। বরং এখানে অবস্থানকে তিনি আল আকসায় ‘মুরাবিত আমিন’ তথা আস্থাবান প্রহরীর মতো মনে করেন।
জানা যায়, উম্মে মুহাম্মদ কুব্বাতুস সাখরার পাশের এই বাড়িতে ৩৫ বছর যাবত বসবাস করছেন। পৈত্রিক সূত্রে তিনি এ বাড়ি লাভ করেন। বাড়িতে অবস্থান মসজিদে আকসার পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। এর মাধ্যমে ঈমানের সর্বনিম্ন স্তরের দায়িত্ব পালন করছেন বলে তিনি করেন।
অবশ্য উম্মে মুহাম্মদকে এই বাড়িতে থাকতে গিয়ে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নানা রকম অন্যায় আচরণ ও বাধা-নিষেধের মুখোমুখী হতে হয়। শুধু তিনি নন, বরং উম্মে মুহাম্মদের পুরো পরিবারের ওপর দখলদার বাহিনীর সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকে।
প্রতি বছর রমজান মাসে ও জুমার নামাজে অংশ নিতে অগণিত মুসল্লিরা আসত। এখন তাদের উপস্থিতি অতি নগণ্য। মুসল্লি শূণ্য আল আকসা প্রান্তর দেখে ব্যথিত হয় উম্মে মুহাম্মদের অন্তর। এদিকে করোনা মহামারির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইসরায়েল সরকার জেরুজামের পবিত্র এই মসজিদের ওপর অন্যায় বিধি-নিষেধ আরোপ করে চলছে।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ