আইফোনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ইনকরপোরেটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক ২০২০ সালে মোট বেতন পান ১ কোটি ৪৭ লাখ ৬৯ হাজার ২৫৯ ডলার। পরিমাণটা একদম কম নয়। টাকায় ১২৫ কোটির বেশি।
এদিকে প্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যাপলও হেলাফেলার মতো নয়। বাজারমূল্যের বিচারে, অর্থাৎ এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকে যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই, গোটা বিশ্বে ১ নম্বর প্রতিষ্ঠান। একই সূচকের পরবর্তী প্রতিষ্ঠানগুলো বিবেচনায় নিলে টিম কুকের বেতন আর ততটা বেশি মনে না-ও হতে পারে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকের প্রতিষ্ঠানগুলোর সিইওরা গত বছর গড়ে ১ কোটি ৩৪ লাখ ডলার বেতন পেয়েছেন।
সূচকটি শীর্ষে থাকা অ্যাপলের বাজারমূল্য দুই ট্রিলিয়ন বা দুই লাখ কোটি ডলারের চেয়ে বেশি; যা এই ৫০০টি প্রতিষ্ঠানের মোট বাজারমূল্যের ৬ শতাংশের কাছাকাছি। তবে টিম কুকের মোট বেতন সে অনুপাতে বেশ কম। ২০২০ সালে পাওয়া মোট বেতনের ভিত্তিতে সূচকের ৫০০ প্রতিষ্ঠানের সিইওদের মধ্যে তিনি আছেন ১৭১ নম্বরে।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
পরিচালনা পর্ষদ সচরাচর সিইওর বেতন নির্ধারণ করে প্রতিষ্ঠানের পারফরম্যান্সের ওপর। অ্যাপলের শেয়ারে এক বছরের রিটার্ন ২০২০ সালে ১০৯ শতাংশ হলেও টিম কুকের বেতন ২০১৯ সালের তুলনায় বেড়েছে কেবল ২৮ শতাংশ।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে টিম কুকের নিট সম্পদের পরিমাণ বেড়ে এক বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক পেরিয়েছে। অর্থাৎ তিনি এখন বিলিয়নিয়ার ক্লাবের সদস্য।
এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেতন পান পেকম সফটওয়্যারের সিইও চ্যাড রিচিসন। তিনি ২০ কোটি ডলারের বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছেন। গত বছর সাত সিইও ৫ কোটি ডলার বা তার বেশি বেতন পান। আর ৫০ লাখ ডলারের কম বেতন পেয়েছেন ২৪টি প্রতিষ্ঠানের সিইও। এই ২৪ জনের মধ্যে টেসলার সিইও ইলন মাস্ক এবং টুইটারের সিইও জ্যাক ডরসিও আছেন। মাস্ক গত বছর কোনো বেতন পাননি। আর ডরসি পেয়েছেন কেবল ১ ডলারের সামান্য বেশি।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ