করোনাভাইরাসের পর এবার “ব্ল্যাক ফাঙ্গাস” বা কালো ছত্রাক নতুন আতঙ্কের রূপ নিয়েছে। রাজস্থান, গুজরাট, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, কর্ণাটক, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা ও তামিলনাড়ুসহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে ইতোমধ্যে মিউকরমাইকোসিস নামের এই রোগটিকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এর আগে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন করোনাভাইরাস আক্রান্ত শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগি বা অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস আছে অথবা স্টেরয়েড থেরাপি প্রয়োজন এমন ব্যক্তিরা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন। তবে এবার জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একই মাস্ক ব্যবহার করলেও বাড়তে পারে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের ঝুঁকি।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার ছয় সপ্তাহের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
এ বিষয়ে নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এইমস) সিনিয়র নিউরোসার্জন ডা. পি শরৎচন্দ্র বলেন, “কালো ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস। এছাড়া টসিলিজুমাবের ওষুধের সাথে স্টেরয়য়েড ব্যবহারেও ঝুঁকি বাড়ায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের। তাছাড়া শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগি বা অক্সিজেন প্রয়োজন এমন রোগিদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।”
“অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে সরাসরি শীতল অক্সিজেন দেওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক” উল্লেখ করে ডা. শরৎচন্দ্র আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে কালো ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ওষুধ পোসাকোনাজল দেওয়া যেতে পারে।
তিনি বলেন, একই ফেস মাস্ক দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিটি এন-নাইটিফাইভ মাস্ক সর্বোচ্চ পাঁচবার ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া কাপড়ের মাস্ক প্রতিবার ব্যবহারের পরেই ধুয়ে ফেলতে হবে এবং রোদে শুকিয়ে ফেলতে হবে। স্যাঁতসেঁতে স্থানে কাপড়ের মাস্ক রাখলে সহজেই ছত্রাক জন্মাতে পারে। তাই প্রতিদিন একই মাস্ক না পরে আলাদা আলাদা মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।”
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ