চীনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলিমের ওপর দেশটির সরকারের মসজিদ ধ্বংস বিষয়ক ক্যাম্পেইনের প্রভাব পড়েছে বলে দাবি করেছে অস্ট্রেলিয়ান বিশেষজ্ঞদের একটি দল। অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের (এএসপিআই) একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, জিনজিয়াংয়ের স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে তারা অন্তত ১৭০টি ধ্বংস হওয়া মসজিদ পেয়েছেন।
এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে নিউজ উইকে। সেখানে বলা হয়, গত দশকে কাশগরের ঐতিহাসিক সিল্ক রোড নগরীর আইডাহে মসজিদে উপস্থিতি প্রায় পাঁচ হাজার জন থেকে ৯০০ জনে নেমেছে। এই তথ্য দিয়েছেন মসজিদটির ইমাম মামাত জুমা। চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি আর সংখ্যালঘুদের রোজা রাখার অনুমতি দেয় না এবং পর্যবেক্ষকরা শতাধিক মসজিদ ভেঙে পড়ে থাকতে দেখেছেন। সরকার এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে। তারা মসজিদগুলোর উন্নয়নে করা ব্যয়ের দিকে ইঙ্গিত করেছে। উন্নয়নের মধ্যে আছে ফ্যান, ফ্লাশিং টয়লেট, কম্পিউটার এবং এয়ার কন্ডিশনার রয়েছে।
আলি আকবর দুমাল্লা নামের এক উইঘুর ২০১২ সালে চীন থেকে পালিয়ে আসেন। তিনি এক ভিডিও ইন্টারভিউতে বলেন, যখনই এটি প্রয়োজন তখন এ জাতীয় দৃশ্য তৈরি করার একটি রুটিন তাদের রয়েছে। লোকেরা ঠিক কী করতে হবে, কীভাবে মিথ্যা বলতে হয় তা জানে। এটি তাদের জন্য নতুন কিছু নয়।
সূত্র: নিউজ উইক।
আরও পড়তে পারেন-
- সাদকায়ে ফিতরের মাসাইল
- রমজানে মুমিনের প্রতিদিনের আমল
- মাহে রমযানের সিয়াম সাধনা ও তার আহকাম
- রমযান মু’মিনের জন্য কী প্রতিফল বয়ে আনে?
- ইসলামে শাসক ও শাসিতের পারস্পরিক হক
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ