হাঁটুর ব্যথা, কোমরে ব্যথায় ভোগেন অনেকেই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাড়ে পুষ্টির পরিমাণ কমে গেলে হাড় হালকা ও ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। হাড় ভালো রাখতে প্রয়োজন পড়ে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের।
সূর্যালোক থেকে যদিও ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, কিন্তু সেটুকুই যথেষ্ট নয়। আপনার কাঁধে অনেক কিছুর ভার, তাই হাড় শক্ত না হলে ভারী বিপদ! তাই সময় থাকতেই সাবধান হন। আর নিয়মিত খান এই ৫ খাদ্য।
দুধ
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মিটিয়ে হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে দুধের জুড়ি নেই। তা ছাড়া দুগ্ধজাত অন্যান্য জিনিস যেমন ঘি, ছানা এগুলোও ভাল। তবে আপনি যদি ল্যাকটোজেন ইনটলারেন্ট হন, অর্থাৎ আপনার দুধে অ্যালার্জি থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
আরও পড়তে পারেন-
- সাদকায়ে ফিতরের মাসাইল
- রমজানে মুমিনের প্রতিদিনের আমল
- মাহে রমযানের সিয়াম সাধনা ও তার আহকাম
- রমযান মু’মিনের জন্য কী প্রতিফল বয়ে আনে?
- ইসলামে শাসক ও শাসিতের পারস্পরিক হক
ডিমের কুসুম
ডিমে প্রোটিন থাকে। বিশেষ করে ডিমের সাদা অংশে। কিন্তু যদি আপনার উদ্দেশ্য হয় হাড় মজবুত করা, তাহলে ডিমের কুসুম খাবেন। ডিমের কুসুম ভিটামিন ডি আর ক্যালসিয়াম দু’টোই বৃদ্ধি করে। তবে দুধের মতো আপনার ডিমেও অ্যালার্জি থাকলে একটু সামলে।
মাছ
টুনা, স্যামন, ট্রাউট এই মাছগুলো হলো ফ্যাটি মাছ। এতে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। আর এই মাছে আপনার ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি অনেকটাই দূর হবে।
শাকসবজি
পাত জুড়ে সবুজ শাকসবজি রাখুন। যাদের দুধ বা ডিমে অ্যালার্জি আছে, তারা নিশ্চিন্তে কেল আর ব্রোকলি খেতে পারেন।
সয়া দুধ বা টফু
দুধে অ্যালার্জি থাকলে খেতে পারবেন সয়া দুধ। সয়া দুধ, টফু বা অন্যান্য সয়া জাতীয় খাদ্য হাড়ের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এগুলো ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। নিয়মিত এ ধরনের খাবার খেলে হাড় সুস্থ থাকবে।
এছাড়া, মাঝে মাঝে একটু খোলা জায়গায় দাঁড়াবেন, যাতে সূর্যের আলো শরীরে প্রবেশ করে। এতেও ভরপুর ভিটামিন ডি আছে।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ