।। মুফতি তাজুল ইসলাম ।।
যাদেরকে যাকাত দেওয়া যায় না, তারা হলেন-
এক. অমুসলিম।
দুই. নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক।
তিন. নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকের নাবালক সন্তান।
চার. বনু হাশিমের লোক।
পাঁচ. মা, বাবা, দাদা, দাদি, নানা, নানি—একইভাবে যত ওপরের স্তরের দিকের কাউকে যাকাত দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ যাদের মাধ্যমে দুনিয়ায় এসেছ, তাদেরসহ ওপরের স্তরের কাউকে যাকাত দেওয়া যাবে না।
ছয়. নিজের মাধ্যমে যারা দুনিয়ায় এসেছে, অর্থাৎ ছেলে-মেয়ে ও তাদের সন্তানাদি একইভাবে তাদের সন্তানদের যাকাত দেওয়া যাবে না।
সাত. স্ত্রী ও স্বামী একে অন্যকে যাকাত দিতে পারবে না।
আট. মসজিদ-মাদরাসা, পুল, রাস্তা, হাসপাতাল বানানোর কাজে এবং মৃতের দাফনের কাজে যাকাতের টাকা দেওয়া যাবে না। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১৮৮, ১৮৯; তাতারখানিয়া : ৩/২০৬; আদ্দুররুল মুখতার : ৩/২৯৪, ২৯৫)।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
ভাই-বোন, ফুফু-ফুফা, খালা-খালু, মামা-মামিকে জাকাত দেওয়ার বিধান
সহোদর ভাই-বোন, ফুফু-ফুফা, খালা-খালু, মামা-মামি যেহেতু উসুল বা ফুরু—অর্থাৎ যাকাতদাতার মূল বা শাখা নয়। তাই তাদের জাকাত দেওয়া যাবে, যদি তারা যাকাত গ্রহণের উপযোগী হয়। এভাবে যাকাতের টাকা দিয়ে কাপড় কিনে দিলেও যাকাত আদায় হয়ে যাবে। অন্তরে যাকাতের নিয়ত রেখে মুখে তা উল্লেখ না করে দিয়ে দিলেও যাকাত আদায় হয়ে যাবে। (হিদায়া- ১/২০৬, বাদায়ে- ২/৪৯)।
জাকাতের অর্থ জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করার বিধান
যাকাতের অর্থ শুধু গরিবদের ব্যক্তিমালিকানায় দিয়ে দিলেই যাকাত আদায় হয়। সুতরাং মসজিদ, হাসপাতাল, রাস্তাঘাট, কালভার্ট ও হাসপতাল নির্মাণের ক্ষেত্রে যাকাতের অর্থ খরচ করা যাবে না। কারণ এসব ক্ষেত্রে জাকাতের অর্থ ব্যয় ব্যক্তিবিশেষকে মালিক বানিয়ে দেওয়া হয় না। (তাতারখানিয়া- ৩/১৯৮, ২০৮; দুররুল মুখতার- ৩/১৭১-১৭৩)।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ
উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com