।। আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন ।।
মানবতার ধর্ম ইসলামে শ্রম ও শ্রমিকের মর্যাদা এবং তাদের অধিকারের বিষয়ে বহু নির্দেশনা রয়েছে। শ্রমের প্রতি উৎসাহ দিয়ে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে- ‘অতঃপর যখন নামায পূর্ণ করা হবে, তখন জমিনে ছড়িয়ে পড়ো; আর আল্লাহকে অধিক মাত্রায় স্মরণ করো। আশা করা যায় তোমরা সফল হবে।’ (সুরা জুমুআ- ১০)।
ইসলাম শ্রমিক-মালিকের সম্পর্ক, দুই পক্ষের কর্তব্য, অধিকার, ন্যায়নীতি ও সমতার মাপকাঠিতে নির্ধারণ করেছে। ইসলাম মনে করে, শ্রমিক-মালিক নিছক প্রভু ও ভৃত্যের মতো নয়; বরং এটিকে ভাই ভাই সম্পর্ক বলে অভিহিত করেছেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। শ্রমিকের অধিকার ও শ্রমগ্রহীতার কর্তব্য সম্পর্কে হাদিসে আছে, ‘শ্রমিকরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন। আল্লাহতায়ালা যার ভাইকে তার দায়িত্বে রেখেছেন, সে যা খাবে তাকেও তা খাওয়াবে, সে যা পরিধান করবে তাকেও তা পরিধান করাবে; তাকে এমন কষ্টের কাজ দেবে না যা তার সাধ্যের বাইরে, কোনো কাজ কঠিন হলে সে কাজে তাকে সাহায্য করবে।’ (সহিহ মুসলিম)।
রমজান মাস রহমতের ও ইবাদতের জন্য বিশেষায়িত। এ মাসে মালিক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো শ্রমিকের প্রতি সদাচরণ করা, তার কাজের চাপ কমিয়ে দিয়ে তাকে ইবাদতে সহায়তা করা। নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে তার কাজের লোকের কাজ কমিয়ে সহজ করে দিল, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার হিসাব সহজ করে দেবেন।’ (-সহিহ বোখারি)
আর পারিশ্রমিকের ব্যাপারে হাদিসে আছে, ‘তোমরা শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করো তার ঘাম শুকানোর আগেই।’ (বায়হাকি)।
যারা শ্রমিকের মজুরি আদায়ে তালবাহানা করেন, তাদের ব্যাপারে নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘সামর্থ্যবানদের পাওনা পরিশোধে গড়িমসি করা অবিচার।’ (সহিহ বুখারি)।
হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আমি তাদের বিরুদ্ধে থাকব, যারা বিশ্বাসঘাতকতা করে, মানুষকে বিক্রি করে এবং ওই ব্যক্তি যে কাউকে কাজে নিয়োগ করল, অতঃপর সে তার কাজ পুরোটা করল; কিন্তু সে তার ন্যায্য মজুরি দিল না।’ (সহিহ বুখারি)।
এ পর্যায়ে আমি শ্রমিকের অধিকার সম্পর্কে কিছু আলোচনা করব।
(১) একজন শ্রমিক অন্যেক কাজ করে অর্থের প্রয়োজনে। তিনি তার শ্রম দিচ্ছেন নিজের জীবন পরিচালনা এবং তার পোষ্যদের ভরণ-পোষণ নির্বাহ করার জন্যে। তাই তাকে যথাযথ পারিশ্রমিক দেয়া যিনি শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করবেন তার নৈতিক দায়িত্ব।
যদি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ যথাযথ/আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারিত পারিশ্রমিক প্রদান না করে, তার প্রাপ্য পারিশ্রমিক কমিয়ে দেয় কিংবা ঠকিয়ে দেয় তিনি হবেন আল্লাহর দৃষ্টিতে জালিম। আর জালিমের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। তার কোন সাহায্যকারী কিয়ামতে থাকবে না। আল্লাহ বলেন- ما للظالمين من حميم ولا شفيع يطاع “জালিমের জন্য কিয়ামতের দিন কোনো বন্ধু ও সুপারিশকারী থাকবে না।”
আল্লাহ আরো বলেন- وما للظالمين من نصير জালিমের জন্য (কিয়ামতের দিন) কোনো সাহায্যকারী থাকবে না।”
হযরত রাসূল (সা.) বলেন- اِتَّقُوا الظُّلْمَ فَإِنَّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
“ তোমরা জুলুমকে ভয় করো। কেননা, জুলুম কিয়ামতের দিন অন্ধকার জীবনের কারণ হবে।”
(২) কাজ শেষে বিলম্ব ব্যতিরেকে পারিশ্রমিক পাবার অধিকার: শ্রমিককে তার মজুরী দিতে হবে পরিশ্রম শেষে অনতিবিলম্বে। অর্থাৎ শর্তানুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে পারিশ্রমিক পরিশোধ করতে হবে। কোনভাবেই তাকে হয়রানী করা যাবে না কিংবা ধোকা দেয়া যাবে না।
ইসলামের বক্তব্য হলো- শর্তানুযায়ী এবং ওয়াদা অনুযায়ী পারিশ্রমিক পরিশোধ না করলে তা মুনাফেকী। আর মুনাফেকী করা হরাম। রাসূল (সা) বলেন- “آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلاَثٌ: إِذَا حَدّثَ كَذَبَ. وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ. وَإِذَا ائْتُمِنَ خَانَ” “মুনাফিকের নিদর্শন তিনটি। যখন সে কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন সে ওয়াদা করে ভঙ্গ করে আর যখন তার কাছে কোনো জিনিস আমানত রাখা হয় তখন সে তাতে খেয়ানত করে”।
(৩) সাধ্যের বাইরে কাজ না করার অধিকার: শ্রমিকের একটি অধিকার হলো তাকে মালিক পক্ষের থেকে এমন কাজ দেয়া যাবে না যা তার সাধ্য ও সামর্থ্যের বাইরে। যদি মালিক পক্ষ এমন কাজ দেয় যা তার শর্তের আওতায় নয় কিংবা শারিরীক ও মানসিকভাবে মেনে নেয়ার মতো নয় কিংবা যে কাজটি চাপিয়ে দিলে ভবিষ্যতে তার শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হবার সম্ভাবনা আছে তবে শ্রমিকে সে কাজটি না করে প্রত্যাখ্যান করার অধিকার রয়েছে।
ইসলামের একটি মূলনীতিই হলো সাধ্যের বাইরে কোনো কিছু চাপিয়ে না দেয়া। আল্লাহ তাআলা সে কথা এভাবে বলেন- لا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْساً إِلَّا وُسْعَهَا “আল্লাহ কোনো ব্যক্তিকে/নফসকে তার সাধ্যেও বাইরে কোনো কিছু চাপিয়ে দেন না”।
(৪) শক্তি কমে গেলেও শ্রমিককে কাজ অব্যাহত রাখার অধিকার: কোনো শ্রমিককে মালিকপক্ষ যদি যুবক থাকা অবস্থায় নিয়োগ দান করেন আর জীবনের কোনো এক পর্যায়ে বাধ্যক্যের কারণে কিংবা অসুস্থতার কারণে কাজে কিছুটা অক্ষমও হয়ে পড়ে তবে সে শ্রমিককে বিদায় না দিয়ে তার অবস্থা অনুযায়ি আলাপ- আলোচনার মাধ্যমে কোনো সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে কর্ম থেকে বিদায় নিতে বা দিতে কোনো অসুবিধা নেই।
এ ব্যাপারে রাসূল (সা) এর জীবকালের একটি ঘটনা প্রনিধানযোগ্য। রাসুলের যামানায় এক ব্যক্তি তার একটি উটকে যুবক থাকতে কঠিন কঠিন বোঝা চাপিয়ে দিতো।
এক পর্যায়ে উটটি বৃদ্ধ হয়ে গেলে সে উটটিকে ভরণপোষণের দায় থেকে বাঁচার জন্য জবেহ করার ইচ্ছে পোষণ করলে রাসূল (সা) তাকে বললেন- أكلت شبابه حتى إذا عجز أردت أن تنحره “তুমি ওর যেীবনকাল খেয়ে ফেলেছো আর যখন বৃদ্ধ হয়েছে তখন তুমি তাকে জবেহ করতে ইচ্ছে করেছো।” তখন ঐ ব্যক্তি উটটিকে ছেড়ে দিলো।
(৫) যথাযথ সম্মান পাবার অধিকার: ইসলামের দৃষ্টিতে প্রত্যেকটি মানুষ সম্মানিত। অপরাধী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেকেই মানুষ হিসেবে সম্মান পাবার অধিকার সংরক্ষণ করে। সে ধনী হোক কি গরীব হোক, শ্রমিক হোক কি মালিক হোক। শ্রমিকরা সাধারণ শ্রেণির হলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, তাকে মালিকপক্ষ তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল করেন, তাকে অপছন্দনীয় উপনামে ডাকাডাকি করেন, অযথা কষ্ট দেন মাঝে মধ্যে তার সাথে এমন আচরণ করেন যেন মনে হয় সে কোনো মানুষই নয়। ইসলামের দৃষ্টিতে তা অবৈধ ও হারাম। শ্রমিক যত সাধারণই হোক না কেন তাকে সাধারণ সম্মান ও মর্যাদা দিতে হবে। আল্লাহ তাআলা মানুয়ের মর্যাদা রক্ষায় বলেন- وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِي آدَمَ “নিশ্চয়ই আমি আদম সন্তানকে সম্মানিত করেছি।”
রাসূল (সা.) বলেন- المسلم على المسلم حرام عرضه وماله ودمه “একজন মুসলমানের জন্য অন্যে মুসলমানের জীবন, সম্পদ ও সম্মানের হানি করা হারাম।
আল্লাহর রাসূল শ্রমিকেরে মর্যাদা প্রদানের নিমিত্ত শ্রমিকের সাথে বসে খেতেন। তিনি শ্রমিককে সেসব খাবার খাওয়াতে বলেছেন যা মালিক খাবেন, সেসব পোষাক-পরিচ্ছদ পড়াতে বলেছেন যা মালিক পরিধান করবে।
আরও পড়তে পারেন-
- সাদকায়ে ফিতরের মাসাইল
- রমজানে মুমিনের প্রতিদিনের আমল
- মাহে রমযানের সিয়াম সাধনা ও তার আহকাম
- রমযান মু’মিনের জন্য কী প্রতিফল বয়ে আনে?
- ইসলামে শাসক ও শাসিতের পারস্পরিক হক
(৬) ধর্ম কর্ম পালন করার অধিকার: শ্রমিক স্বীয় ধর্ম পালন করার অধিকার সংরক্ষণ করবেন। তাকে মৌলিক ধর্ম কর্ম করার জন্য প্রয়োজনীয় সময় দিতে হবে। বাধা দেয়া যাবে না। যদি ধর্মীয় কাজ করতে দেয়া না হয় কিংবা বাধা দেয়া হয় তবে আল্লাহর ভাষায় সে চরম ভ্রষ্টতার মধ্যে নিমজ্জিত থাকবে।
আল্লাহ বলেন- الذين يستحبون الحياة الدنيا على الآخرة ويصدون عن سبيل الله ويبغونها عوجاً ، أولئك في ضلال بعيد “যারা পার্থিব জীবনকে ভালোবাসে এবং আল্লাহর পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায় ও তাতে বক্রতা সৃষ্টি করে তারা চরম ভ্রষ্টতার মধ্যে নিপতিত।”
মুসলমান শ্রমিক হলে তাকে ফরয নামায, ফরয রোযা পালন করার জন্য সুযোগ দিতে হবে। কোনো মালিক যদি শ্রমিককে ফরয পালনের সুযোগ না দেন তবে ইসলামের দৃষ্টিতে সে শ্রমিক মালিকের বিরুদ্ধে কোর্টে বিচার দায়ের করতে পারবে। কারণ, ধর্ম পালন করার অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকারের অন্তরভূক্ত একটি অধিকার।
(৭) প্রতিকার চাওয়ার অধিকার: কোনো শ্রমিক যদি যথাযথ অধিকার ও প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হন তবে তার প্রতিকারের অধিকার রয়েছে। তিনি সেজন্য ন্যায় ইনসাফের ভিত্তিতে প্রতিকার চাইতে পারবেন। কোর্টে মামলা দায়ের করতে পারবেন।
শ্রমিকের ব্যাপারে ইসলাম অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছে। তাকে অসম্মানের স্থান থেকে সম্মানের আসনে আসীন করেছে। তার জীবনের নিরাপত্তা, পারিশ্রমিকের নিরাপত্তা, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, আমাদের সমাজের মুসলিমগণও এসব দায়িত্বের ব্যাপারে জেনে না জেনে অবচেতন রয়েছে। সকল মুসলিমকে এ ব্যাপারে আরো সচেতন হওয়া দরকার বলে মনে করি।
মালিকের দায়িত্বপালনে শ্রমিকের কর্তব্য
ইতঃপূর্বে শ্রমিকের অধিকার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এ পর্যায়ে আমি শ্রমিকের যেসব দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে তার কতিপয় দিক তুলে ধরতে চাই।
১. যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করা: মালিকের প্রতি একজন শ্রমিকের দায়িত্ব হলো, তিনি যে কাজের জন্য তাকে নিয়োগ দিয়েছেন সে দায়িত্ব যথাযথভাবে সাধ্যমত পালন করা। দায়িত্ব পালনে কোনো গাফলতি না করা।
এ ব্যাপারে রাসূল (সা) বলেন- ألا كُلُّكُمْ راعٍ ، وكُلُّكُمْ مَسؤولٌ عن رَعِيَّتِهِ “ তোমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল আর তোমাদের প্রত্যেককে সে দায়িত্ব সম্পর্কে জবাব দিতে হবে।”
২. আমানতদারীর সাথে দায়িত্ব পালন করা এবং খেয়ানত না করা: শ্রমিকের দায়িত্ব হলো মালিক কর্তৃক অর্পিত দাযিত্ব আমানতের সাথে পালন করা। তাতে কোনোভাবে খেয়ানত না করা। ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতিটি দায়িত্ব আমানতদারীর সাথে পালন করা ফরয। খেয়ানত করা হারাম।
রাসূল (সা) বলেন- “آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلاَثٌ: إِذَا حَدّثَ كَذَبَ. وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ. وَإِذَا ائْتُمِنَ خَانَ”.
“মুনাফিকের নিদর্শন তিনটি। যখন সে কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন সে ওয়াদা করে ভঙ্গ করে আর যখন তার কাছে কোনো জিনিস আমানত রাখা হয় তখন সে তাতে খেয়ানত করে”।
তিনি আরেকটি হাদিসে বলেন- لَا إِيمَانَ لِمَنْ لَا أَمَانَةَ لَهُ وَلَا دِينَ لِمَنْ لَا عَهْدَ لَهُ “যার আমানতদারী নেই তার ঈমান নেই আর যার ওয়াদাপালন নেই তার দীন নেই।”
৩. মালিকের সম্পদ চুরি করা যাবে না: ইসলামে চুরি করা হারাম। তা যদি হয় মালিকের পক্ষ ঠিকঠাক মত পরিশ্রমিক পরিশোধের পর তবে তা আরো বেশী গুণাহর কাজ।
রাসূল (সা) বলেন- من استعملناه على عمل، فرزقناه رزقاً، فما أخذ بعد ذلك فهو غلول “যাকে আমরা কোনো দায়িত্ব প্রদান করেছি(কর্মচারী নিয়োগ করেছি) আর তাকে যথাযথ পারিশ্রমিক দিয়েছি তখন সে তার প্রাপ্য অধিকারের বাইরে গ্রহণ করবে তা হবে চুরি পর্যায়ের।”
৪. মালিকের সাথে কোনোরূপ প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ না করা শ্রমিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। ইসলামে প্রতারণা করা হারাম। রাসূল(সা) বলেছেন- مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا “ যে ব্যক্তি প্রতারণা করে সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়।”
ইসলাম একটি সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠায় সর্বদা দিক নিদের্শনা দিয়েছে। এজন্যে একদিকে শ্রমিকের ব্যাপওে মালিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য বাতলে দিয়েছে তেমনি বাতলে দিয়েছে শ্রমিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। প্রত্যেকে যদি তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে তবে সে সমাজ অত্যন্ত সুখের ও সমৃদ্ধিও সমাজ হওয়া সম্ভব। আসুন আমরা সবাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামের অনুশাসন মেনে চলি এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষকে মেনে চলতে উৎসাহিত করি।
– আল্লামা মুফতি জসীমুদ্দীন, মুফতি, মুহাদ্দিস ও মুফাসসির এবং সহকারী পরিচালক- আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ