।। আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন ।।
১। গর্ভবতী নারীর সন্তান কিংবা নিজের প্রাণনাশের ভয় হলে। তবে পরে ক্বাযা করা লাগবে, কাফফারা দেওয়া লাগবে না। (ফাতাওয়া আলমগীরী- ১/২৭০, মাকতাবায়ে ইত্তিহাদ, দেওবন্দ)।
২। অপরের সন্তানকে দুধ পান করানোর কারণে ধাত্রীর নিজের কিংবা সন্তানের কষ্ট হলে। তবে পরে এর কাযা করা লাগবে, কাফফারা দেওয়া লাগবে না। (ফাতাওয়া আলমগীরী- ১/২৭০, মাকতাবায়ে ইত্তিহাদ, দেওবন্দ)।
৩। কোনো অসুখের কারণে রোযা রাখার শক্তি হারিয়ে ফেললে অথবা রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা হলে। তবে পরে এ রোযার কাযা করতে হবে। (আল-মুহিতুল বুরহানী, আল-ফাসলুস সাবে ফীল আসবাবিল মুবিহাতি লিল ফিতর)।
৪। কেউ হত্যার হুমকি দিয়ে রোযা ভাঙ্গতে বাধ্য করলে রোযা ভেঙ্গে ফেলবে এবং পরে তার কাযা করতে হবে।
৫। কোনো ব্যক্তি শরয়ী মুসাফির তথা নিজ বাড়ি থেকে শরয়ী ৪৮ মাইল দূরে সফর করার ইচ্ছায় বের হলে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া- ১/২৬৯, মাকতাবায়ে ইত্তিহাদ, দেওবন্দ)।
আরও পড়তে পারেন-
- সাদকায়ে ফিতরের মাসাইল
- রমজানে মুমিনের প্রতিদিনের আমল
- মাহে রমযানের সিয়াম সাধনা ও তার আহকাম
- রমযান মু’মিনের জন্য কী প্রতিফল বয়ে আনে?
- ইসলামে শাসক ও শাসিতের পারস্পরিক হক
৬। সফর অবস্থায় কষ্ট না হলে রোযা রাখা উত্তম। আর কষ্ট হলে রোযা না রাখতে হবে। (শরহুল বিদায়া- ১/১৮৬)।
৭। রোযা অবস্থায় সফর শুরু করলে তা পুরো করা জরুরী। আর সফর অবস্থায় রোযা না রেখে বাড়ি ফিরে আসার পর দিনের কিছু অংশ বাকী থাকলে, পানাহার থেকে বিরত থাকবে। কোনো ব্যক্তি পানাহার না করা অবস্থায় সূর্য ঢলে পড়ার দেড় ঘন্টা পূর্বে নিজ বাড়িতে ফিরে এলে নিয়ত করে রোযা রাখতে হবে। (আল-হিদায়া- ১/১৮৪)।
৮। কোনো রোগীর ক্ষুধা বা তৃষ্ণা এমন পর্যায়ে বৃদ্ধি পেয়েছে যে, কোনো মুসলমান দ্বীনদার ডাক্তার রোযা ভঙ্গ না করলে মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় রোযা ভঙ্গ করা ওয়াজিব। তবে পরে তার কাযা করতে হবে। (ফাতাওয়া শামী- ১/১৫৩, এস এম সাঈদ কোম্পানী; ফাতওয়া আলমগীরী- ১/২৭০, মাকতাবায়ে ইত্তিহাদ, দেওবন্দ)।
উল্লেখ্য, যাদের রোযা ভাঙ্গার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তাদের জন্যে রোযার সম্মানার্থে প্রকাশ্যে পানাহার না করাই বাঞ্ছনীয়।
– মুফতি জসীমুদ্দীন, মুফতি, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও সহকারী পরিচালক- আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ