প্রশ্ন : যাঁরা শুধু জুমার নামাজ এবং রমজান মাসে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, তাঁদের কি বেনামাজি বলা যাবে?
উত্তর :কোনো সন্দেহ নেই, এরা বেনামাজি। নামাজ আসলে তারা আদায় করেনি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তো সালাত ফরজ করেছেন পাঁচ ওয়াক্ত।
হাদিসের মধ্যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, আল্লাহ সুবহানতায়ালা দিন ও রাতের মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতকে ফরজ করেছেন। এখন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত যেটি ফরজ, সেটি যদি কেউ আদায় না করে থাকেন, তাহলে তো তিনি কুফরি করলেন।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
তার সব ইবাদত, সব আমল আল্লাহু রাব্বুল আলামিনের কাছে কিচ্ছু না। কোনো গ্রহণযোগ্যতা পাবে না এবং কেয়ামতের দিন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে এগুলোর কোনো মূল্য হবে না এবং মিজানের মধ্যে এর কোনো ওজন দেওয়া হবে না।
তাই শুধু জুমার নামাজ বা ঈদের নামাজ যাঁরা লোক দেখানোর জন্য পড়েন, তাঁদের এটি লৌকিক সালাত। এই লৌকিক সালাত শুধু যে অন্যায়, তা নয়। বরং এ ব্যাপারে কোরআনে কারিমের মধ্যে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘ফাওয়াইলুল্লিল মুসাল্লিন। আল্লাজিনাহুম আং সলাতিহিম সাহুন। আল্লাজিনাহুম ইউরাউন’।
অর্থাৎ লোকদের দেখানোর জন্য, অমনোযোগীভাবে শুধু লৌকিক সালাত যারা আদায় করে থাকে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেছেন, ‘এ ধরনের মুসল্লি যারা আছে, তাদের জন্য ধ্বংস।’
তাই বেনামাজি বলতে মূলত বোঝায় যে ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত পরিহার করে বা তরফ করে। সেটি যদি এক ওয়াক্ত কেউ তরফ করে থাকে, তাহলেও সে বেনামাজি।
কিন্তু ধরেন, যদি ওজরের কারণে কেউ আজকে নামাজ পড়তে পারলেন না, তাই আগামীকাল আদায় করে নিলেন, তাহলে তাকে বেনামাজি বলা হবে না।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ