আজ তোমরা জানবে নূর-আস্তানা মসজিদ সম্পর্কে। এটি নির্মিত হয়েছে প্রাচ্যদেশীয় স্থাপত্যরীতিতে। তবে এতে বৃহত্তর তুর্কি (টার্কিক) প্রভাব লক্ষণীয়।
মসজিদের বড় এবং ছোট গম্বুজগুলোর সমন্বয় অসাধারণ। লিখেছেন মুহাম্মদ রোকনুদ্দৌল্লাহ্
মসজিদের নাম নূর-আস্তানা। এটি বিশ্বের সুন্দরতম স্থাপনাগুলোর একটি। কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় এর অবস্থান।
এটি একটি আধুনিক স্থাপনা; প্রতিষ্ঠিত ২০০৮ সালে। কাজাখস্তানের সবচেয়ে বেশি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এবং মধ্য এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ হিসেবে এটি বিবেচিত।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
নূর-আস্তানা মসজিদ নির্মিত হয়েছে প্রাচ্যদেশীয় স্থাপত্যরীতিতে। তবে এতে বৃহত্তর তুর্কি (টার্কিক) প্রভাব লক্ষণীয়। মসজিদের বড় এবং ছোট গম্বুজগুলোর সমন্বয় অসাধারণ।
মসজিদ স্থাপনার সাধারণ উচ্চতা ৪০ মিটার। আর মিনারগুলোর উচ্চতা ৬৩ মিটার। বড় গম্বুজ ও মিনারগুলোর উপরিভাগ স্বর্ণে মোড়া।
এ মসজিদে একই সাথে পাঁচ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে আরো দুই হাজার মুসল্লির স্থান সঙ্কুলানের ব্যবস্থা আছে। দ্বিতীয়তলার ঝুলবারান্দায় প্রায় দুই হাজার নারী মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
মসজিদের আয়তন প্রায় চার হাজার বর্গমিটার। মসজিদ স্থাপনা নির্মাণে কাতার ছয় মিলিয়ন ডলারের বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
আস্তানা নগরীর ইশিম নদীর দক্ষিণ তীরের এই মসজিদ নির্মাণ করা হয় কাচ, কংক্রিট, গ্র্যানিট শিলা (ধূসর বর্ণের পাথর) ও হালকা ওজনের বিশেষ ধরনের অ্যালুমিনিয়ামের পাত (অ্যালিউকোবন্ড) ব্যবহার করে।
অন্যান্য উপকরণও ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদের স্থপতি চার্লস হাফিজ। তিনি লেবানিজ। তথ্যসূত্র : ওয়েবসাইট।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ