।। শায়খ আহমাদুল্লাহ ।।
বৈবাহিক সম্পর্ক আর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের মধ্যে পার্থক্য হলো— প্রথমটিতে সামাজিক কমিটমেন্ট, সাক্ষ্য-প্রমাণ ইত্যাদি থাকে; দ্বিতীয়টিতে এসব থাকে না। যার কারণে বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে যে জবাবদিহিতা থাকে, বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্কে তা থাকে না। ফলশ্রুতিতে বৈবাহিক সম্পর্কে প্রতারণার আশঙ্কা খুবই কম থাকে, বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্কে যা অহরহ হয়ে থাকে।
এছাড়াও বৈবাহিক সম্পর্কে যতটা নির্মল ও সত্যিকারের ভালোবাসা থাকে, বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্কে ততটা থাকে না। বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্কে ভালোবাসার খোলসে ভোগটাই মুখ্য থাকে। ব্যতিক্রম খুবই কম।
বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্কের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলা হয় যে, বিবাহের আগে একটু-আধটু জানাশোনা থাকলে ও লিভ টু গেদার হলে বিবাহ-পরবর্তী বোঝাপড়া ভালো হয়, সম্পর্কটা ভালো হয়।
এ যুক্তির বিপরীতে বিনয়ের সাথে প্রশ্ন রাখতে চাই, তথাকথিত লিভ টু গেদার ছাড়া সরাসরি বিবাহ করা আগের জেনারেশন অর্থাৎ আমাদের বাপ-চাচাদের দাম্পত্য-জীবনে পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো ছিল, নাকি আজকের লিভ টু গেদার প্রজন্মের? তাদের ভালোবাসা নিখাঁদ ছিল, নাকি আমাদের? তাদের সম্পর্ক বেশি টেকসই ছিল, নাকি আজকের জেনারেশনের?
সুতরাং প্রিয় যুবসমাজ, দৃঢ়তার সাথে হারামকে না বলুন। হালাল সম্পর্কের জন্য অপেক্ষা করুন। শয়তানের ফাঁদে পা না দিয়ে মহান আল্লাহর নির্দেশিত পথে থাকুন। জোয়ারে গা না ভাসিয়ে স্রোতের বিপরীতে চলতে শিখুন।
[লেখকের ফেসবুক পোস্ট থেকে]
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ