।। মুফতি আবুল কাসেম নোমানী ।।
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কারো মিথ্যুক হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শোনে তাই বর্ণনা করতে শুরু করে। অপর এক বর্ণনায় এসেছে, কারো গুনাহগার হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে সে সকল শোনা কথা বর্ণনা করে বা প্রচার করে বেড়ায়।
এইসব হাদীস থেকে বোঝা যায়, সকল কথা যাচাই-বাছাই করা ছাড়া বর্ণনা করা অথবা শোনামাত্রই সেটিকে সত্য বলে মনে করা ঠিক নয়। কারণ, শোনা কথায় এমন প্রবল আশংকা রয়েছে যে, কথাটি মিথ্যা হতে পারে। অথচ আমরা সেটিকে বর্ণনা করে নিজেদেরকে মিথ্যাবাদীদের কাতারে শামিল করে নিলাম।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
এজন্য প্রথমে উচিত, যে কোনো জিনিস শোনার পর যাচাই করা। যদি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, তাহলেই কেবল উপযুক্ত হলে বর্ণনা করা।
আজকাল সামাজিক মাধ্যম মিথ্যা কথা ছড়ানোর অনেক বড় মজবুত প্লাটফর্মে পরিণত হয়ে গেছে। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া অনেক জিনিসই ভিত্তিহীন হয়ে থাকে। আর মানুষও সাদা মনে সেইসব জিনিসের উপর নির্ভর করে। এবং কোন ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই শেয়ার করে দেয়, যা কখনই উচিত নয়।
– মুফতি আবুল কাসেম নোমানী, মুহতামিম- দারুল উলূম দেওবন্দ, ভারত।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ
উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com