সুলতান হাজী হাসান আল বলখিয়া মসজিদ। ফিলিপাইনে নতুন গড়ে ওঠা কোটাবাটো শহরে এ মসজিদের অবস্থান। ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসান আল বলখিয়া ব্যক্তিগত অর্থ ব্যয়ে ফিলিপাইনে নির্মাণ করে দেন এ মসজিদটি। কোটাবাটো গ্র্যান্ড মসজিদ নামেও পরিচিত এ মসজিদটি নির্মাণের উদ্দেশ্য ফিলিপাইনে ক্রমবর্ধমান মুসলমানদের সহায়তা করা ও উৎসাহ দান।
জৌলুস, জটিল, কঠিন কারুকাজ আর স্থাপত্যশৈলী এ মসজিদের বৈশিষ্ট্য নয়। এসবের পরিবর্তে বরং সাধারণত্বের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এ মসজিদের সৌন্দর্য আর প্রবল আকর্ষণের কারণ। দামী জিনিসপত্র ব্যবহার, কারুকাজ আর জটিল নির্মাণশৈলী ছাড়াও যেকোনো স্থাপনা আকর্ষণীয় আর মনোরম হতে পারে তার সাক্ষ্য বহন করছে ফিলিপাইনের এ মসজিদ। মসজিদের সাধারণ নির্মাণশৈলীর আর চারপাশের মনোরম পরিবেশ একে দান করেছে অপরূপ সৌন্দর্য আর মাধুর্য।
মসজিদের তিন দিকে নয়নাভিরাম জলাধার, এক দিকে পাহাড় শ্রেণী, বৃক্ষরাজি ঘেরা বিশাল উদ্যান এবং অদূরে বিশাল সাগরের নীল জলরাশি সব কিছু এ মসজিদের পুরো পরিবেশকে করে তুলেছে স্ব^র্গীয়। কখনো কখনো মনে হয় যেন মসজিদ নয় বরং স্বর্গীয় কোনো পরিবেশে সাজানো এক অপরূপ রাজ প্রাসাদ এটি।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- কাশ্মীরীরা নিজেদের ভারতীয় মনে করে না, তারা ভারতীয় হতে চায় না
- আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.): কিছু কথা, কিছু ব্যথা
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- ‘গ্যাং’ কালচারের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা সময়ের দাবী
প্রাচীন আর আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর সমন্বয়ে নির্মিত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ। ২০১১ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এক সাথে ৬০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন এ মসজিদে। চারটি মিনার, ১৪টি গম্বুজ রয়েছে এ মসজিদে। গম্বুজের সোনালি রঙ মন কাড়ে দর্শকদের।
সুলতান বলখিয়া মসজিদ আর এর চারপাশের মনোরম পরিবেশের কারণে এ এলাকা এখন কোটাবাটো নগরবাসীর অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। শুধু মুসলমান নয় অমুসলিম পর্যটকরাও এ মসজিদ দেখতে ভিড় করেন।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ